Breaking News

বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে তোলপাড় বীরভূমের মল্লারপুর!

প্রসেনজিৎ ধর :- ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বার বার সরগরম হয়েছে রাজ্য | এবার এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বীরভূমের মল্লারপুর | হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও ওই ব্যক্তিকে শেষরক্ষা করা যায়নি | এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সময়ই মৃত্যু হয় তাঁর|জানা গেছে,রবিবার সকালে বীরভূমের রামপুরহাটের মল্লারপুরে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়, বছর ৫০-র ওই কর্মীর নাম জাকির হোসেন|পরিবার সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বেশ কিছুদিন বাড়ি ছাড়া ছিলেন জাকির |কয়েকদিন বাদে এলাকার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে গত ৮ই মে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন তিনি | তবে সেবার তিনি ফিরতে পারেননি দুষ্কৃতীদের ভয়ে বলে অভিযোগ | জাকিরের পরিবারের অভিযোগ, জাকির বাড়ি ফেরার সময় পথেই দুষ্কৃতিরা তাঁর ওপর হামলা চালায় | বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে মারধর করা হয় তাঁকে বলে অভিযোগ | এরপর জাকিরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বীরভূমের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় | সেখানেই তিনি গত ৮ই মে থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন | তবে তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকায় চিকিৎসকেরা তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন | চিকিৎসকের পরামর্শ মত রবিবার দিন সকালেই পরিবারের সদস্যরা জাকিরকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন | কলকাতায় নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর | বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হয় | অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ | তিনি বীরভূমের মল্লারপুর থানার অন্তর্গত কোট গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি ছিলেন | পূর্বে তিনি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানও ছিলেন | তবে পরে বিজেপিতে যোগ দেন | বিজেপির বীরভূম জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন,’অশান্তির জেরে আমাদের এই বিজেপি কর্মী জাকির হোসেন গ্রামছাড়া ছিলেন | গত ৮ তারিখ বাড়ি ফেরার চেষ্টা করলে তিনি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হন তাঁর একটি হাত এবং একটি পা ভেঙ্গে যায | শরীরেও একাধিক জায়গায় ক্ষত দেখা দেয়| আজ তিনি প্রাণ হারান |’ এই ঘটনার বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই |

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *