দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের গুপ্তধন বিটকয়েন। সেই ক্রিপ্টোকারেন্সি তিনি জমিয়েছেন প্রায় ১০০ কোটি টাকার। তাঁকে জেরা করে এমনটাই তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কী ভাবে উদ্ধার করা যাবে এত টাকা, তা ভেবেই কিনারা পাচ্ছেন না গোয়েন্দা আধিকারিকরা। কী ভাবে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে পরিণত হয়েছে বিপুল টাকা এবং কার কার নামে রাখা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের বহু যুবক ও তরুণের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আমির খান ও তার সহযোগীরা প্রতারণা করেছে, অভিযোগ এমনই। তাকে জেরা করে সহযোগীদের নাম জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। ওই প্রতারণার টাকা কীভাবে ক্রিপটোকারেন্সিতে পরিণত করে কাদের নামে রাখা হয়েছে, গোয়েন্দারা এবার সেই তথ্য জানার চেষ্টা করছেন। ওই টাকা গার্ডেনরিচে আমিরের বাবা নাসির খানের পরিবহণের ব্যবসায় লগ্নি হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানতে আমিরের বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।গেমিং অ্যাপের নামে ভারত তথা পৃথিবীর একাধিক দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে আমিরের নামে। আরও অভিযোগ, অনলাইন পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে লাভ করিয়ে দেওয়ার টোপও দিত আমির। আমিরের বাকি সাগরেদদের খোঁজে চলছে জোরদার তল্লাশি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আমিরের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। টাকার উৎস, লেনদেন এবং বিনিয়োগের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।সপ্তাহ দু’য়েক আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গার্ডেনরিচের সিজিআর রোডে ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে থাকা পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে গাজিয়াবাদ থেকে লালবাজারের গোয়েন্দারা তাকে গ্রেপ্তার করেন। আমিরকে প্রাথমিক জেরার পর গোয়েন্দারা জেনেছেন যে, উদ্ধার হওয়া ১৭ কোটি টাকাও সে রেখেছিল ক্রিপটোকারেন্সিতে। বিটকয়েন ভাঙিয়েই সে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা রেখেছিল বাড়িতে। ওই টাকা পরিবহণ ব্যবসায়ে লগ্নি করার ছক ছিল বলে অভিযোগ। তাকে জেরায় উঠে আসছে মধ্য প্রাচের দুবাই ও কুয়েত যোগের তথ্য। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, বিদেশে পড়াশোনা করেছিল সে। সেখান থেকেই গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার বিষয়টি সে জানতে পারে। মধ্য প্রাচ্যের ওই দুই দেশে তার কয়েকজন আত্মীয় আছেন। আমির নিজেও হাওলার কারবারের সঙ্গে জড়িত। সেই সূত্র ধরে প্রথম দিকে প্রতারণা ও জালিয়াতির বিপুল টাকা হাওলায় পাঠাত বিদেশে।