দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় জামিন পেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। সোমবার আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে জামিন পান তিনি। অন্যদিকে জোরালো সম্ভাবনা থাকলেও এ দিন প্রাথমিক মামলায় ইডির চার্জগঠন সম্ভব হয়নি। কারণ, এ দিনই কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্য, তাঁর স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও তিনটি কোম্পানি এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানান। ফলে চার্জ গঠন পদ্ধতি কিছুটা জটিল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ মামলার পঞ্চম চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর। তার প্রেক্ষিতে জামিন চান কল্যাণময়। তার প্রেক্ষিতে বিচারক শুভেন্দু সাহা তাঁকে প্রশ্ন করেন, “কল্যাণময়বাবু আপনাকে কী জেরা করা হয় এই মামলায়?” উত্তরে জানান, জেরা করা হয় তাঁকে। এরপর বিচারক জানান, তাঁকে কোনওদিন গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাই জামিন দেওয়া হল। তবে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত দেশ ছাড়তে পারবেন না তিনি।সোমবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় চার্জ গঠন হওয়ার কথা ছিল। সে কারণে ইডির বিশেষ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আদালতে হাজিরার কথা ছিল। সমন পাঠানো হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে। সে কারণে বিদেশ থেকে ভারতে আসেন তিনি। এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরাও দেন কল্যাণময় ভট্টাচার্য।এ দিন উল্লেখযোগ্য জামিন, পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের। ইডির পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর। সেই মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছিল। তবে এর আগে হাজিরা এড়িয়ে ভার্চুয়ালি হাজিরার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন কল্যাণময়।যদিও স্পেশাল কোর্টের বিচারকের বক্তব্য ছিল, ‘ওঁকে (কল্যাণময়) তো জামিন নিতে হবে। সেটা ভার্চুয়ালি কী ভাবে সম্ভব!’ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তিনদিনের মধ্যে ফ্লাইট ধরে কল্যাণময় যেন কলকাতায় আসেন এবং আদালতে হাজিরা দেয়। না হলে আদালত যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। এই শুনানি হয়েছিল গত বুধবার ১৮ ডিসেম্বর। এর পরই সোমবার ২৩ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে দেখা যায় কল্যাণময়কে। নিম্ন আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুরও করে।