নিজস্ব সংবাদদাতা :- বকটুইকাণ্ডে লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন রাজ্যের কারা দফতরের প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি | সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ওর (লালন শেখ- র )মৃত্যুটা অসুখে হয়েছে। অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাকে আমরা চিকিৎসা করিয়েছি। অনেকেই অসুস্থ অবস্থায় আসেন কারেকশন হোমে। যথাসাধ্য গভমেন্ট ভেতরে চিকিৎসা করেন । জটিল রোগ হলে বাইরে ও চিকিৎসা করে। কিন্তু কেউ মারা গেলে আর কিছু করার নেই। সোমবার সন্ধ্যায় রামপুরহাটের পান্থশ্রী অতিথিনিবাসে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তথা তৃণমূল নেতা লালন শেখের। সিবিআইয়ের দাবি, তাদের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসের শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় লালন শেখকে। লালনের মৃত্যু নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রামপুরহাটসহ বীরভূমের একাংশ। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়রা। বিকেলে এই মৃত্যু নিয়ে কারা প্রতিমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। জবাবে অখিল গিরি বলেন, ‘সংশোধনাগারে অনেকেই অসুস্থ হয়ে আসেন। সরকার তাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা করায়। জেলের হাসপাতালে দরকারে বাইরের হাসপাতালেও চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু কেউ মারা গেলে তো কিছু করার নেই।’কারামন্ত্রীর মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। কারণ, বোলপুরের সিবিআই ক্যাম্পে উদ্ধার হয়েছে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ। ফলে অসুস্থতার তত্ত্ব আদতে কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্ন তো থাকছেই, সেই সঙ্গে আরও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিবিআই হেফাজতে বন্দিদের চিকিৎসার ভার সম্পূর্ণভাবে তাঁদের উপর। অর্থাৎ বন্দিদের কোন হাসপাতালে ভরতি হবে, কোন চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করবে, তা ঠিক করে সিবিআই। সেখানে অখিল গিরি দাবি করেছেন, তাঁরা লালন শেখের চিকিৎসা করিয়েছে। বিষয়টা কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্নও তুলেছে ওয়াকিবহল মহল।