Breaking News

“বৃষ্টি বেশি হলে সতর্ক থাকুন,জল জমলে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দেবেন না”বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় সাবধানবাণী মমতার!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা, তা নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা অব্যাহত | বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনাও নতুন নয়| দমদম, খড়দহ, আগরপাড়া,পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহে মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজনের| সেই ঘটনাকেই হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা | শুক্রবার ভবানীপুরের ভোটপ্রচারে সে প্রসঙ্গে বিরোধীদের পাল্টা জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |এদিন তিনি বলেন, “বাংলা নৌকার মতো | পাশাপাশি রাজ্যে বৃষ্টি হলে এখানে জল চলে আসে | আগে বৃষ্টি হলে ৭-১০ দিন জল থাকত | এখন অনেক পাম্পিং স্টেশন করা হয়েছে | বৃষ্টি বেশি হলে সতর্ক থাকুন | জল জমলে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দেবেন না |”ভাদ্র এবং আশ্বিন মাস জুড়ে অতি বর্ষণ এবং সেই সঙ্গে জমা জলের যন্ত্রণা নিয়ে মুখ খুলতে শোনা যায় মমতাকে | তাঁর বক্তব্য, “এটা তো ভোটের সময় নয় | বর্ষার সময় | কিন্তু আপনাদের অসময়ে বিরক্ত করছি | প্রায় ৪ মাস ধরে বর্ষা হচ্ছে | সাড়ে তিন লক্ষ পুকুর কেটেও জল ধরে রাখা যাচ্ছে না | আমরা অনেক পাম্পিং স্টেশন তৈরি করে দিয়েছি|” তা সত্ত্বেও রাজ্যের মানুষকে বছরের পর বছর ধরে জল যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে কেন? নিজেই তার ব্যাখ্যা করে মমতা জানান, “কিন্তু ব্যাপারটা কী জানেন তো, বাংলাটা হচ্ছে একটা নৌকার মতো | ঝাড়খণ্ডে, বিহারে বেশি বৃষ্টি হলে ডিভিসি জল ছেড়ে দেয় বাংলায়| সল্টলেকটা আরও বড় নৌকা | ওখানে যখন বাড়ি তৈরি হয়েছিল, নীচু জমি ভরাট করেনি | তাই ওখানে জল জমে গেলে বেরোতে সময় লাগে|” রাজ্যবাসীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, “আমি সবাইকে আবেদন করব, বর্ষা যখন হয়, দয়া করে ইলেক্ট্রিক পোলে হাত দিতে যাবেন না | এসি, টিভি বন্ধ রাখবেন, তাহলে বিপর্যয় হয় না | ঘরের বাইরে কম বেরোবেন | বজ্রাঘাত আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে | আগে বিদ্যুতের অনেকগুলো পকেট ছিল, এখন আর ওসব মানছে না | এগুলো সবই গ্লোবাই ওয়ার্মিংয়ের ফল |”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *