দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কলকাতা ও হুগলির সরকারি জলপ্রকল্পে ডিভিসির ছাড়া ঘোলা জল ঢুকে পড়ায় মহানগর ও শহরতলির পুরসভা এলাকায় পানীয় জলের সংকট শুরু | ডিভিসির ছাড়া ঘোলা জল ঢুকে গিয়েছে পানীয় জলের ট্যাঙ্কে| স্বাভাবিকভাবেই উত্তর কলকাতার পাড়ায় পাড়ায় দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট | অন্যদিকে পলতা ট্যাঙ্কেও ঢুকেছে নোনাজল | যে কারণে হুগলি জেলারও একাংশে চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে পানীয় জলের | জেলার পুরসভাগুলির পাইপলাইনের পানীয়জন আপাতত পান করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে |উত্তর ও মধ্য কলকাতার পাশাপাশি উত্তরপাড়া, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, চাঁপদানি, চন্দননগর, চুঁচুড়া ও বাঁশবেড়িয়ায় পাইপ লাইনে ঘোলা জল পড়ছে| সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম | পাশাপাশি এই সঙ্কটের জন্য ফের একবার ডিভিসিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি | রবিবার উত্তর কলকাতায় ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয়জলের নলগুলি থেকে ঘোলা জল বেরোতে দেখা যায় | যে কারণে এই জল ব্যবহারে সতর্ক থাকার জন্য আনুরোধ করা হয়েছে পুরসভার বরো অফিসের তরফে | এতদিন নদীর নিচতল থেকে জল নেওয়া হত পলতায় | কিন্তু সোমবার থেকে নদীর উপরের জলস্তর থেকে পানীয় জলপ্রকল্পে জল টানা হবে | কারণ, ডিভিসির ছাড়া ঘোলা ও কাদা মাখা জল তুলনায় ভারী হওয়ায় নদীর জলপ্রবাহের তলদেশ দিয়ে যাচ্ছে | আপাতত পলতা থেকে পাঠানো টালা ট্যাঙ্কের জল সরবরাহ শহরে কম হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি | তবে টালা ট্যাঙ্কের জল সামান্য ঘোলাটে হলে পান করা যাবে, কারণ এখানে বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়ায় জল সংশোধন করা হয় | এদিকে আতঙ্কিত হয়ে চড়া দামে পানীয়জলের জার কিনতে হচ্ছে শহর ও শহরতলীর মানুষদের| এ বিষয়ে ডিভিসির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে ফিরহাদ হাকিমের দাবি, ‘এই পানীয়জলের সঙ্কটের জন্য দায়ী ডিভিসি | এর জন্য পুরসভা ও কেএমডিএ-র তরফে ডিভিসির থেকে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে|’