নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ভৎর্সনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার | ক্ষতিগ্রস্তদের এখনও আর্থিক সাহায্য প্রদান না করার জন্য রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘একটি সিরিয়াস বিষয়ে রাজ্যের একেবারে ক্যাজুয়াল অ্যাটিটিউড’ ধরা পড়ছে | সোমবার ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখবন্ধ খামে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে সিবিআই | রিপোর্টে জানানো হয়েছে, তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর ৪০ টি এফআইআর রুজু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং সাতটি মামলায় চার্জশিট জমা পড়েছে | সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই.জে.দস্তুর জানান, মসৃণভাবে এগোচ্ছে তদন্ত | কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি সিবিআইকে | রাজ্যও তদন্তে সহযোগিতা করছে | সিবিআইয়ের তরফে কোনও অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা না হলেও রাজ্যের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ | এদিন সওয়াল জবাব চলাকালীন আদালতে সিটের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, চরম ভৎর্সনার মুখে পড়তে হয় | ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করেন, “হিংসা মামলায় কত কেসে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য? আমায় জানতে হবে | জিপি কোন ভাবে মিস করেছেন এই মামলা!”ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, সিটের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আইপিএস অফিসারদের নিয়োগ করা হয়েছে | যাচাইয়ের জন্য সেই বৈঠকের তথ্য চায় হাইকোর্ট | কিন্তু তা দিতে ব্যর্থ হয় রাজ্য | হাইকোর্ট জানায়, সিটের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরকে নিয়োগ করা হয়েছে | সিটের তদন্তে সহযোগিতার জন্য অতিরিক্ত আইপিএস নিয়োগের সময় তাঁর সঙ্গেও আলোচনা করেনি রাজ্য | সোমবারের শুনানিতে আর্থিক সাহায্য প্রদানের তেমন কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি রাজ্য সরকার | তাতে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে,’এটার মাধ্যমেই একটি সিরিয়াস (গুরুতর) বিষয়ে রাজ্যের একেবারে ক্যাজুয়াল অ্যাটিটিউড ধরা পড়ছে |’