Breaking News

অভাবী সংসারে ফল বিক্রি করে ডাক্তারিতে সুযোগ পেল মালদহের ছাত্র,তাকে সংবর্ধনা জানালেন ডিওয়াইএফআই এর প্রাক্তন ও নতুন সদস্যরা!

দেবাশীষ পাল,মালদহ :- অভাবী সংসারে ফল বিক্রি করে ডাক্তারিতে সুযোগ পেলো এক ছাত্র | সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে ৯৫২৬ র‍্যাঙ্ক করে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পেল মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা সেখ সলেমানের ছেলে সাবির আলি | ফল বিক্রি করে অভাবের সংসার চালান বাবা সেখ সলেমান | আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে সাবিরের সাফল্যে গর্বিত পরিবার সহ গোটা গ্রাম|
সংসারে ‌রয়েছে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে | তাকে সংবর্ধনা জানাতে ছুটে আসলেন একের পর এক রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা | রবিবার মিষ্টিমুখের মধ্য দিয়ে সাবিরকে ফুলের তোড়া,কলম ও ডায়েরি দিয়ে সংবর্ধনা জানালেন ডিওয়াইএফআই এর প্রাক্তন ও নতুন সদস্যরা | সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের ফলাফল প্রকাশিত হতেই আনন্দের জোয়ার সাবিরের ঘরে,তার প্রাপ্ত নম্বর ৬২৬ নিজের সাফল্যে খুশি সাবিরও | তিনি বলেন,২০১৭ সালে হাওড়ার খলতপুর শাখা আলামিন মিশন থেকে ৮৬.৮৫ শতাংশ নম্বার পেয়ে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছি এবং ২০১৯ সালে সূর্যপুর শাখা আলামিন মিশন থেকে ৮৮.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছি | উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে মেডিক্যালের জন্য কোচিং নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করি | প্রথমবার অসফল হওয়ার পর বাড়িতে বসেই প্রস্তুতি শুরু করি| এবার সফলতা এসেছে | প্রতিদিন নিয়ম করে ৮/৯ ঘন্টা করে পড়তাম | সময় পেলেই বাবার সঙ্গে ফলের দোকানে বসতাম | বাবা-মা ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় এই সাফল্য বলে জানায় সাবির | চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করাই আমার লক্ষ্য |ছেলের সাফল্যে আপ্লুত বাবা সলেমান | আনন্দে ও গর্বে বাধ মানেনি চোখের জলও | তিনি বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য গ্রামের মানুষের দুরবস্থা দেখে স্থির করেছিলাম ছেলেকে ডাক্তারি পড়িয়ে চিকিৎসক তৈরি করব | ফল বিক্রি করে চরম আর্থিক সমস্যার মধ্যেও ওর পড়াশোনা করিয়েছি | আমার ছেলেরও আগ্রহ ছিল ডাক্তারি পড়ার | ছোট থেকেই পড়াশোনায় সে অত্যন্ত মেধাবী | পড়াশোনার পাশাপাশি আমার ফলের দোকানও সামলাত |”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *