প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-চাষের জমি হঠাৎ করে হয়ে যাচ্ছে মাছের ভেড়ি, তা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট | এমন ঘটনার নমুনাও জমা পড়েছিল আদালতে | আদালতের বিচারপতি পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার | একই ধরণের ঘটনায় ফের দায়ের হয়েছিল মামলা| সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করা হল | রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ | জমির ধরণ পরিবর্তনের ওপরেও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে, নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী | এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে | পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার নৈছনপুরে ধানের জমি ও পানের বরজ দখল করে মাছের ভেড়ি বানানোর অভিযোগ উঠেছে | ১২৩-১২৫ বিঘা জমি বেআইনিভাবে দখলের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মণ্টু জানা, বানেশ্বর জানা-সহ প্রায় শতাধিক চাষি| বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় মামলাকারিদের অভিযোগ, বিঘে বিঘে উর্বর ধান এবং পানের বরোজের জমি জবরদখল করে মাছের ভেড়ি বানানো হচ্ছে কৃষক পরিবারগুলি বারবার স্থানীয় বিধায়ক এবং প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ |চাষিদের প্রশ্ন,কোনওভাবেই কৃষি জমিতে বেআইনিভাবে মাছের ভেড়ি আটকানো হচ্ছে না কেন?গত দু’বছর ধরে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় চাষের জমির মাঝেই তৈরি হয়েছে মাছের ভেড়ি | এতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে | ভেড়ি তৈরিতে চাষিরা আপত্তি করলে তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে |প্রসঙ্গত, এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং বিধানসভার একাধিক এলাকায় ধানজমি দখল করে ড্রেসিং মেশিন দিয়ে গর্ত করার অভিযোগ উঠেছিল | অভিযোগ, জমি নষ্ট করে মাছের ভেড়ি বানানো চলছে | হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শতাধিক চাষি | আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দেশের সম্পদ চাষি | তাঁদের জমি দখল বা ক্ষমতাধরের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না | এরপর একই অভিযোগ আসে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে, অভিযোগ এসেছে ময়না থেকে| পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসককে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার | পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককেও রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি |