দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অবশেষে চরম পদক্ষেপ করলেন মমত বন্দ্যোপাধ্যায় | মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরেই পার্থ চট্টোপাধ্যয়কে মন্ত্রীপদ থেকে সরানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে | নোটিস জরি করে নবান্নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সব প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে | রাজ্যের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলাচ্ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় | এই তিন দফতর হল- শিল্প ও বাণিজ্য দফতর, তথ্য প্রযুক্তি দফতর এবং পরিষদীয় দফতর | মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরেই নবান্নে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে তিনটি দফতরের দায়িত্ব থেকেই অব্যহতি দেওয়া হয়েছে এবং এই তিনটি দফতরের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী নিজে নিজেছেন বলে জানা গিয়েছে| বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয় | সেই বৈঠক মাত্র ১৫ মিনিট চলে | সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার বৈঠকে পার্থের বিষয়ে একটা শব্দও খরচ করা হয়নি | সেই বৈঠকের কিছুক্ষণ পরেই নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, আজ (২৮ জুলাই) থেকেই পার্থকে শিল্প দফতর, পরিষদীয় দফতর এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে| সেই বিজ্ঞপ্তি জারির কিছুক্ষণ পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘পার্থদার কাছে যা যা দফতর ছিল, সেগুলো আমার কাছে আসছে | এখন হয়ত আমি কিছু করব না | কিন্তু নতুন মন্ত্রিসভা তো গঠন করা হয়নি |’
তবে মমতা ‘বরখাস্ত’ এবং ‘অপসারিত’-র মতো শব্দ ব্যবহার করেননি| বরং ‘অব্যাহতি’ ব্যবহার করেছেন মমতা | আর কিছুক্ষণের মধ্যেই টিএমসির দফতরে বৈঠক | সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক ডেকেছেন | সেখানে কী সিদ্ধান্ত হয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে | যদিও মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক প্রকার তাঁকে বহিষ্কারের পথ তৈরি করে দিয়েছেন | কারণ মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা না হলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে অপসারণ করা হল | দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করতেই শেষ পর্যন্ত অপসারণের পথে হাঁটতে হল টিএমসি সুপ্রিমোকে| গ্রেফতারির ৬ দিন পরে অপসারণ করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে | এই নিয়ে আবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। কেন এত দেরিতে পদক্ষেপ কথা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা |