প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- পার্থকাণ্ডে ফের বিস্ফোরক মিঠুন চক্রবর্তী | বৃহস্পতিবার সকালে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মিঠুন চক্রবর্তী | সেখানে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না, এত টাকা এই দু’ জনের হতে পারে | এখানে অনেকের টাকা রয়েছে | স্যার ও ম্যাডামকে আমি অনুরোধ করব, নিজেদের এত কষ্ট দেবেন না | সত্যি কথা সকলকে বলে দিন | অপরের জন্য নিজেরা এত কষ্ট সহ্য করবেন না | ওনারা লুটের টাকা রক্ষা করতেন | তাই বলব, সত্যি কথা জানিয়ে দিন সকলকে |” অর্থাৎ এদিন ইঙ্গিতে মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করলেন, শুধু মাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নয়, ঘটনার নেপথ্যে জড়িয়ে আরও অনেকে | এর আগে বুধবার হেস্টিংসে বিজেপির দফতরে যান মিঠুন চক্রবর্তী | সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের সমালোচনা করেন ‘মহাগুরু’ | বিস্ফোরক দাবি করেন, “৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছেন তার মধ্যে ২১ জন বিধায়ক সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে |” একইসঙ্গে পার্থ প্রসঙ্গে মুখ খুলে গতকাল মিঠুন বলেছিলেন, “দুর্নীতির প্রমাণ না থাকলে ঘুমিয়ে থাকুন | প্রমাণ থাকলে কেউ বাঁচাতে পারবে না |” তারপর মিঠুন চক্রবর্তীর গ্রেফতারির দাবিতে পাল্টা সরব হন কুণাল ঘোষ | মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ডের ব্ল্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, সারদার সুবিধাভোগী’ বলে তোপ দাগেন তৃণমূলের মুখপাত্র | কুণালের দাবি, ‘ওঁর তো অ্যারেস্ট হওয়া উচিত | অ্যালকেমিস্টের মামলাতেই অ্যারেস্ট হওয়া উচিত | তারপর আজ পার্থ ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী | মিঠুন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “ইডি তো নিজেদের মতো করে তদন্ত করছে | উনি কি তদন্তকারীদের প্রভাবিত করতে চাইছেন?” এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এটা নতুন কিছু নয় | মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্য একেবারেই অসঙ্গত নয় | ওই দলের তো একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট | পার্থ-অর্পিতা সবাই দাবার ঘুঁটি | নাহলে রাজ্যে এতকিছু হয়ে যায়, পুলিশ কেন কিছু টের পায় না? পুলিশ মন্ত্রীই বা কেন চুপ?”