দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- চিটফান্ড মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আবার তলব করল বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে। মঙ্গলবারের পর ফের বুধবার সুবোধ অধিকারীকে তলব করল সিবিআই। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার বিধায়ককে বেলা ১২টায় সলটলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তিনি চিঠি দিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে ১৫ দিন সময় চান। বুধবার তাঁকে তলব করার পরও এদিন আবার সুবোধ অধিকারীর আইনজীবীরা সিবিআই দফতরে গিয়ে সময় চেয়ে আবেদন করেন বলে সূত্রের খবর ।চিটফান্ড মামলায় বেশ কিছুদিন ধরেই তৎপর সিবিআই। চলতি সপ্তাহে এই মামলায় হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি গ্রেফতারির পরই সিবিআইয়ের নজরে পড়ে তাঁর ঘনিষ্ঠরা। ৪ সেপ্টেম্বর বীজপুরের বিধায়ক এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পৈতৃক বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বিটি রোড, পাইকপাড়া এবং দক্ষিণদাড়ির বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। পাইকপাড়ায় ছিলেন সুবোধের স্ত্রী রিঙ্কু। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এলআইসি সংক্রান্ত নথি এবং পাসপোর্ট খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সুবোধ অধিকারীর আপ্তসহায়ক ও দুই নিরাপত্তারক্ষীকে সিজিও কমপ্লেক্স নিয়ে আসে সিবিআই।বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে বেরিয়ে যান দুই নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে প্রায় সতেরো ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুবোধ অধিকারীর আপ্তসহায়ককে। প্রথমে চিটফান্ড মামলায় হালিশহরের চেয়ারম্যান রাজু শাহানির বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। তারপর রাজু সাহানি ঘনিষ্ঠ সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে তল্লাশি চলে। সূত্রের খবর, রাজু সাহানি গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে যে সব নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেখান থেকেই সুবোধের নাম উঠে এসেছে। আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করার সময় সুবোধ যে হিসেব দিয়েছিলেন তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বছরে তাঁর গড় আয় ৫-৬ লক্ষ টাকা। চিটফান্ড মামলার তদন্তে শিকড়ের খোঁজে গোয়েন্দারা।
এরপরই গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সুবোধ অধিকারীকে বেশ কিছু নথি নিয়ে কলকাতায় সিবিআই দপ্তরে তলব করা হয়। কিন্তু গতকাল যাননি বিধায়ক। তবে তাঁর আইনজীবীকে পাঠিয়ে সিবিআইয়ের কাছে ১৫ দিন সময় চান তিনি। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি সিবিআই। ফলে বুধবার ফের তলব করা হয় সুবোধ অধিকারীকে। কিন্তু এদিনও হাজিরা এড়ালেন তিনি। ফলে এরপর সিবিআই কী পদক্ষেপ করে, সেদিকেই নজর সকলের।