দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সাঁতরাগাছিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি | বিজেপির নবান্ন অভিযানে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা। প্রথমে পুলিশের দেওয়া বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া শুরু হয়। পাল্টা জলকামান ছোড়ে পুলিশ। তার মধ্যে শুরু পাথরবৃষ্টি। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমসিম খায় পুলিশ। বোমা ফাটার শব্দ পাওয়া যায়। তার পরই কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ছত্রভঙ্গ হয় ওই মিছিল।সার্ভিস রোড থেকে পাথর তুলে ক্রমাগত পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। উড়ে আসে বড় বড় কাচের বোতল। ভাঙা হয় পুলিশের কিয়স্ক। কিয়স্কের ভিতর থেকে চেয়ার বের করে মাটিতে আছড়ে ফেলে ভাঙা শুরু হয়। ব্যারিকেডের বাঁশ উপড়ে ছোড়া হয় পুলিশদের দিকে। বিক্ষোভকারীদের লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ বাহিনী। শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সাঁতরাগাছি রেল স্টেশন থেকে আবার ইটবৃষ্টি হয়। তাদের বাধা দেয় পুলিশ।অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে হাওড়া ময়দানে বিজেপির মিছিলে উত্তেজনা। ব্যারিকেড ভাঙলেন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস পুলিশের। একে একে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় একাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সুকান্ত মজুমদার, সঙ্গে যোগ দেন অগ্নিমিত্রা পাল। পুলিশ হাজার চেষ্টা করেও তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ ভাঙতে পারছে না। পুলিশের কাছে দুই বিজেপি নেতার দাবি, ‘সিপিকে ডাকুন’! পুলিশ কমিশনার না এলে তাঁরা বিক্ষোভ তুলবেন না, বলেই অনড়। এদিন বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সাঁতরাগাছি, লালবাজার, হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন, রবীন্দ্র সরণী ও এমজি রোড চত্বর। লালবাজার চত্বরে আগাম ঘোষণা ছাড়াই যায় বিজেপির মিছিল। তারপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে শুরু করে কলেজ স্কোয়্যার— সর্বত্রই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে জমায়েত হয়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পায়ে পায়ে সকলেই নবান্ন যেতে প্রস্তুত। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই সরকার চোরেদের সরকার। রাজ্যের প্রতিটি প্রান্ত থেকে লোকজন এসে আজ নবান্নে ঢুকে সেই দাবিই জানাবে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও যোগ্যতা নেই।’’