প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বিজেপি-র নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই তুঙ্গে উত্তেজনার পারদ। এদিন বেলার দিকে একে একে আটক করা হয় রাজ্য বিজেপির তিন পরিচিত মুখ শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল সিনহাকে। আলিপুর পিটিএস-র সামনে থেকে এই তিন নেতাকে প্রিজন তোলে পুলিশ । যদিও পুলিসি এই অতি সক্রিয়তার বিরোধিতায় আদালতে যাওয়ার হুমকি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। নবান্ন অভিযানকে সফল করতে জোর কদমে নেমেছে বিজেপি শিবির। আর বিজেপির নবান্ন অভিযানে অন্যতম সেনাপতির ভূমিকায় রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাঁতরাগাছি থেকে যে মিছিল করে নবান্ন অভিযানে আসবে বিজেপি কর্মীরা, তার নেতৃত্বে শুভেন্দু। কিন্তু মঙ্গলবার বেহালা থেকে সাঁতরাগাছির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পরই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার সময় আটকে দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে। আর এরপরই চরম ক্ষোভ দেখিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন বিরোধী দলনেতা। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় শুভেন্দুর। কলকাতার দিক থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার মুখে যে ব্যারিকেড করে পুলিশ, সেটি ভাঙার চেষ্টা করেন বিরোধী দলনেতা। পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ”এখনই হাইকোর্টে ফোন করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হায় হায়। আমি বিরোধী দলনেতা, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটকানো হচ্ছে। ভয় পেয়েছে মমতা, ক্ষেপে গেছে জনতা।” এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তুলে আটক করা হল শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহাকে।
এদিন পুলিশকর্মী শুভেন্দুকে ভ্যানে তুলতে এগোলে শুভেন্দু মহিলা পুলিশকর্মীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি মহিলা। আমার গায়ে হাত দেবেন না।’ এরপর শুভেন্দু পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।তাঁদেরকে আটক করে নিয়ে আসা হল লালবাজার| বিজেপির সূচি অনুযায়ী, এদিনের নবান্ন অভিযানে সাঁতরাগাছি থেকে মিছিলের নেতৃত্বে থাকার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। মঙ্গলবার সকালে পিটিএস থেকে প্রচুর কর্মী, সমর্থক নিয়ে সাঁতরাগাছির দিকে যাচ্ছিলেন তিনি, সঙ্গে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এই চত্বরে পুলিশি ব্যারিকেড ছিল। তাই পুলিশ তাঁকে আটকায়। সেখানেই শুভেন্দু পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় শুভেন্দুর। ‘আমাকে গ্রেফতার করুন’ বলে শুভেন্দু কার্যত পুলিশের দিতে তেড়ে যান। বলেন, ”যেতে দেবেন না কেন? না গেলে নদী পেরব কীভাবে? ওখানে আমাদের সমর্থকরা অপেক্ষা করছেন।”