প্রসেনজিৎ ধর :- তপন দত্ত খুনের মামলায় বহাল রইল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল থাকল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়। রাজ্য এবং অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েনের আবেদন খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। ৯ জুন তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন এবং রাজ্য সরকার। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে ধোপে টিকল না তাদের আবেদন। তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্ত-ই হবে, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট।আমার স্বামীর খুনের চক্রান্তকারী তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। তপন দত্ত হত্যা মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার দিন ফের একবার এই দাবি করলেন তাঁর স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। দীর্ঘ ১২ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর স্বামীকে সুবিচার দিতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।শুক্রবার প্রতিমাদেবী বলেন, ‘আমার আস্থা ছিল আমরা জিতব। আমি সেকথা কাল সব্যসাচীকে বলেছি। বলেছি যে, বিকাশবাবু জিতবেন আমি জানি’।
পুজোর মুখে আদালতের রায়কে বিশাল বড় উপহার বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশাল বড় উপহার পেলাম | মা দুর্গা আমাকে যা দিলেন চিন্তা করা যায় না। মা দুর্গা নিজে আমার মাথার ওপর হাত রাখলেন’। ফের একবার অরূপ রায়কে কাগঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে আমি বলছি, অরূপ রায়ের চক্রান্তে এই খুন হয়েছে। উনি যে চক্রান্ত করেছেন সেটা প্রমাণ হবে। তিনি সাজা পাবেন’।২০১১ সালের ৬ মে খুন পরিবেশ কর্মী তপন দত্ত। খুনের ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। পরবর্তীতে সেই খুনের ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-কে দেয় হাইকোর্ট। খুনের ঘটনার ১১ বছর পর সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। সিঙ্গল বেঞ্চ সেই রায় দেয়। হাওড়ার তৃণমূল নেতা তথা পরিবেশ কর্মী তপন দত্ত খুনের মামলায় সেই রায়-ই বহাল রাখল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১১-এর ৬ মে গুলি করে খুন করা হয়েছিল তপন দত্তকে। খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মী-সহ ১৩ জনের। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে এই মামলায় তদন্তভার গ্রহণ করেছিল সিআইডি। ওই বছরই অগস্টে চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। সিআইডি জানায়, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন তপন দত্ত। আর তাই তাঁকে খুন করা হয়। কিন্তু তারপর অদ্ভুতভাবেই ফের আরেকটি চার্জশিট পেশ করে ৯ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়। তারপর নিম্ন আদালতে বেকসুর খালাস পেয়ে যান বাকিরা। যার পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত।