প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- অখিল গিরি ইস্যুতে উত্তাল বিধানসভা। শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে এদিন বিধানসভা শুরু হতেই অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিজেপি বিধায়করা। দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে মন্ত্রী অখিল গিরির আপত্তিকর মন্তব্য করার প্রেক্ষিতে বিধানসভায় আজ মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। এদিন বিজেপি বিধায়করা আদিবাসীদের পাঞ্চি উত্তরীয় পরে বিধানসভায় যান। তাঁদের জামায় সাঁটা ছিল দ্রৌপদী মুর্মুর স্টিকার। তবে বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায় বিধানসভায়। এরপরই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। আজ দুপুর ১২টা নাগাদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে শোরগোল শুরু হয় বিধানসভায়। বিজেপি বিধায়করা মন্ত্রীর অপসারণের দাবি তোলেন। তবে বিজেপি বিধায়কদের সেই আচরণের বিরোধিতা করেন তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা। পরে মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ায় বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করেন। এদিকে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে আক্রমণ করেছেন মন্ত্রী অখিল গিরি। এই ঘটনায় সারা ভারত উত্তাল হয়েছে। আমরা তাঁকে বরখাস্ত করে গ্রেফতারির দাবি করছি। আমরা মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিয়েছিলাম। আমাদের সেই মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করেছেন বিধানসভার স্পিকার। আলোচনার সুযোগও দেওয়া হয়নি। সেই কারণে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর জেরে স্পিকার বাধ্য হন সভা মুলতুবি করতে।’ উল্লেখ্য, শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে অখিল গিরি বলেছিলেন, ‘(শুভেন্দু) বলে (আমাকে) দেখতে ভালো নয়। কী রূপসী? কী দেখতে ভালো? আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?’ এই নিয়েই বিতর্ক। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের মামলা ইতিমধ্যেই গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে উচ্চ আদালতে।