Breaking News

ফের অসাধ্য সাধন!ত্রিশূলে এফোঁড়-ওফোঁড় গলা, এনআরএসে জটিল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল যুবকের

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ভোররাতে গলায় ত্রিশূল বেঁধা অবস্থায় এনআরএসে হাজির এক ব্যক্তি। চিকিৎসকদের তৎপরতায় বাঁচল প্রাণ। রাত ৩টে নাগাদ এনআরএসের জরুরি বিভাগে আসেন ওই ব্যক্তি। গলায় ত্রিশূল বিঁধে রয়েছে দেখে তাঁকে তড়িঘড়ি পাঠানো হয় ইএনটি-র জরুরি বিভাগে। অ্যানাস্থেশিয়া করে চিকিত্সক সুতীর্থ সাহার নেতৃত্বে একঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। গলায় যে ক্ষত হয়েছে, তা সামাল দেওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, তাঁকে আইসিইউ-তে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে | তবে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নিপুণ দক্ষতায় জটিল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচে যুবকের। কল্যাণীর ওই যুবকের বয়স ৩৩ বছর। তাঁকে তড়িঘড়ি জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার চলে। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তাই কোনও সাপোর্ট সিস্টেম ছাড়াই রয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে গলায় কেমন করে ত্রিশূল ঢুকেছে সেটা জানা যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাত তিনটে নাগাদ নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হাজির হন এক ব্যক্তি। গলায় এফোঁড় ওফোঁড় করে বিঁধে রয়েছে এক আস্ত ত্রিশূল। ঘাড়ের পিছনে বেরিয়ে ধারাল ত্রিশূলের ফলা। আর সামনে বিঁধে ত্রিশূলের লম্বা সূঁচালো অংশ। গোটা মুখ রক্তে মাখামাখি। তখনই চোটের অংশের প্রাথমিক পরীক্ষা শুরু করেন দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক। খবর দেওয়া হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের শল্যচিকিৎসায় দক্ষ চিকিৎসকদের কাছে। চিকিৎসকদের সূত্রে খবর,‌ শ্বাসনালী, ক্যারোটিড গ্রন্থি–সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ওই জায়গায় থাকে। তাই অস্ত্রোপচার করা জটিল। তবে সেটা সম্ভব হয়েছে প্রচণ্ড ধৈর্য্যের সঙ্গেসবাই কাজ করতে পেরেছেন বলে। খুব সাবধানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ‘পুশ অ্যান্ড পুল’ প্রক্রিয়ায় ‘ট্রাকিয়োস্টমি’ পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। ঘনিষ্ঠ মহলে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু ভয় না পেয়ে তড়িঘড়ি অপারেশনের সিদ্ধান্তেই প্রাণ বেঁচেছে যুবকের। কীভাবে তাঁর গলায় ওই ত্রিশূল ঢুকে গেল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *