দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন কলকাতার গঙ্গার ঘাটে বারাণসীর ধাঁচে গঙ্গা আরতি হোক। সেই মতো জায়গা খোঁজা হয়েছে। অন্যান্য জেলায় ইতিমধ্যেই গঙ্গা আরতি শুরু হয়েছে। কিন্তু শহরের গঙ্গা আরতি আরও জাঁকজমকপূর্ণ হোক সেটাই চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বাজেকদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতি শুরু করার আগে বারাণসী যাচ্ছেন মেয়র পারিষদ–সহ, পুর কমিশনার এবং পুরসভার অফিসাররা। বারাণসী ও কলকাতা একরকম দেখতে যাতে লাগে তাই এই পদক্ষেপ।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর মতো কলকাতায় গঙ্গার ঘাটে আরতির ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং গঙ্গার একাধিক ঘাট পরিদর্শন করেন। তার থেকে বেছে নেওয়া হয় বাজেকদমতলা ঘাটকে। শতাব্দীপ্রাচীন গঙ্গার ঘাটে আরতি কেমন হবে? তার স্কেচ তৈরি করেছেন অভিষেক সিং। সেই নকশা মেনেই তৈরি হচ্ছে গঙ্গা আরতির প্রস্তুতি। তৈরি হয়ে গিয়েছে ইস্পাতের বেদি। টানা ষোলোটি ইস্পাতের বেদি থাকবে ঘাটে। সেই বেদির উপর দাঁড়িয়েই হাতে একশো আটটা করে প্রদীপ তুলে নেবেন পুরোহিতরা।একদিকে থাকবে গাঁদা ফুলের বিছানা। অন্যদিকে দর্শকদের জন্য বসার ব্যবস্থা। স্কেচে দেখা যাচ্ছে, গঙ্গায় বিশেষ নৌকার ব্যবস্থা করা হবে। নৌকাবিহার করেও আরতি দেখতে পারবেন ইচ্ছুকরা। মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, ঘাটে যে ধরনের আধুনিক মানের আলোর ব্যবস্থা করা হবে তা বারাণসীতেও নেই।জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটা স্টলও থাকবে। সেখানে ঠাকুরের ফুল, মালা, ধূপকাঠি, কেনার ব্যবস্থা থাকবে। এই বিষয়ে মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, ‘বারাণসী গিয়ে প্রাথমিক নকশা করা হয়েছে। নকশা অনুযায়ী এগোচ্ছে কাজ। দ্বিতীয়বার বারাণসী গিয়ে সরেজমিনে দেখা হবে আরতির বিষয়টি।’ কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, মেয়র পারিষদ তারক সিং, পুর কমিশনার বিনোদ কুমার, পিকে দুয়া (ডিরেক্টর জেনারেল) এবং প্রদীপ সামন্ত। এঁরাই যাবেন বারাণসী সফরে যাবেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। বারাণসীর পুরোপুরি অনুকরণ করা নয়। তবে আরতি যাতে একরকম হয় এবং ১০৮ প্রদীপ নিয়ে করা যায় তাই এই সফর।