দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রাথমিক টেটে বিবাহিত মহিলা পরীক্ষার্থীদের শাঁখা- পলা খুলতে বাধ্য করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। গত ১১ ডিসেম্বর পাঁচবছর পর রাজ্যে টেট হয়। কড়া নিরাপত্তাবেষ্ঠনীতে নেওয়া হয় পরীক্ষা। মৌমিতা চক্রবর্তী নামে এক টেট পরীক্ষার আয়োজনে বাড়াবাড়ি অভিযোগ করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, শাঁখা-পলা খুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছিল তাঁকে। সেই কারণেই হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন ওই পরীক্ষার্থী মৌমিতা চক্রবর্তী। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।পারমিতাদেবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক টেট পরীক্ষার দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে হিন্দু রমণীদের শাঁখা – পলা খুলতে বাধ্য করেছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কোন আইনে তারা এই নির্দেশিকা জারি করেছে তা আদালতে তাদের জানাতে হবে। সংসদের এই নির্দেশিকার কারণে বহু হিন্দু বিবাহিত নারী পরীক্ষা দিতে পারেননি। জলপাইগুড়ির বাসিন্দা মৌমিতা চক্রবর্তীসহ বহু নারী এতে বঞ্চিত হয়েছে। তাদের জন্য আদালতে বিচার চাইব। এই মর্মে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছেন তিনি। চলতি সপ্তাহেই মামলাটির প্রথম শুনানি হতে পারে। একই সঙ্গে তিনি জানান, এই নির্দেশিকা জারি করায় সংসদ সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। মামলায় অভিযোগ, টেট পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হিন্দু গৃহবধূদের হাতের শাঁখা-পলা খুলতে হয়েছে। যাঁরা খোলেননি তাঁরা ঢুকতে পারেননি। পরীক্ষা দিতে পারেননি। মামলায় মামলাকারীর তরফে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদিকার দাবি, কমিশনের সিদ্ধান্তের ফলে টেট পরীক্ষা দিতে পারেননি মৌমিতা |তাঁর যে ক্ষতি হল তা কে মেটাবে?