প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- একদিকে সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র চোখ রাঙিয়ে বলছেন, ‘কেউ যদি মনে করেন, বিজেপিতে গিয়ে তৃণমূলকে ঠেকানো যাবে বা তৃণমূলে গিয়ে বিজেপিকে হঠানো যাবে, তাঁদেরকে বলছি লাল ঝান্ডার পার্টিতে তাঁর জায়গা নেই।’ অন্যদিকে সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’ পত্রিকায় রেলের বিজ্ঞাপণ ছাপা হচ্ছে যেখানে জ্বলজ্বল করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি |আজ সোমবার ‘গণশক্তি’তে ভারতীয় রেলের একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে রানাঘাট-বনগাঁ নতুন ইএমএউ ট্রেনের যাত্রার সূচনার কথা প্রচার করা হয়েছে। ওই বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবির সঙ্গে রয়েছে তাঁর বার্তা। বার্তাটি হচ্ছে, ‘ভারত কীভাবে বদলে যাচ্ছে, কীভাবে সফল হচ্ছে স্বপ্ন, তারই এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত ভারতীয় রেল’। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞাপনে নাম রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। নাম রয়েছে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ সারথী চট্টোপাধ্যায়ের। ফলে, রেলের বিজ্ঞাপনে রাজনীতির রং দেখছেন অনেকে। বিশ্লেষকদের একাংশ আবার মনে করছেন, বিজ্ঞাপনের অছিলায় টাকার বিনিময়ে বাম কর্মীদের মধ্যে নিজেদের ভাবধারা প্রচার করছে গেরুয়া শিবির। আর সব জেনেও চুপ আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। প্রশ্ন উঠছে, বিজ্ঞাপন বা রেভিনিউ জেনারেট করার নামে কি তাহলে দক্ষিণপন্থার সঙ্গে আপোসের সংকেত দিচ্ছে সিপিএম। শুধুমাত্র টাকার জন্যই কি গণশক্তির পাঠকদের কাছে বিজেপির বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে জেনেও চুপ আলিমুদ্দিন?একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তলে তলে সিপিএম-বিজেপি জোট হয়েছে, এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
বাম সমর্থকরা তৃণমূলের বিরোধিতা করতে গিয়ে নাকি কেন্দ্রবিশেষে বিজেপিতে ভোট দিয়েছেন। দু, একবার দেখা গিয়েছে, বিজেপির মিছিলে লাল কাস্তে-হাতুড়ি-তারা পতাকা। বামেদের ভোটে রামের দলে গিয়েছে, সেকথা সম্প্রতি প্রকাশ্যে আনেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, নন্দীগ্রামে বামপন্থীদের ভোটেই তিনি জিতেছিলেন। দিন দুই আগে বাম-রামের এই ‘অশুভ আঁতাঁত’ নিয়ে কার্যত বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর মুখে বামেদের ভূয়সী প্রশংসাও শোনা যায়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal