Breaking News

‘সমালোচনার ঊর্ধ্বে কেউ নয়, সমালোচনা থেকেই শিখি’, বইমেলায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সমালোচনা থেকে তিনি শেখেন, কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শুরু হয়েছে ৪৬তম কলকাতা বইমেলা।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্পেনের মন্ত্রী মাকিয়া খোসে গালভেজ সালভাদোর, ভারতে স্পেনের রাষ্ট্রদূত খোসে মারিয়া রিদাও দোমিনগেজ, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে, গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় সহ অনান্যরা। কলকাতা বইমেলার ইতিহাসে এবারই বসছে সর্বাধিক সংখ্যার স্টল। প্রায় ৭০০ ছোট-বড় বইয়ের স্টল ছাড়াও থাকছে ২০০টি লিটল ম্যাগাজিনের স্টলও। থাকছে আমেরিকা, বিট্রেন, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, ইরান মিলিয়ে ২০টি দেশের ২০টি স্টল হচ্ছে। থাকছে বাংলাদেশের ৭০টি স্টল। থাকছে থিম কান্ট্রি স্পেনের স্টল। সব মিলিয়ে মোট স্টলের সংখ্যা এবার ১০৪০।

মেলা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমালোচনার ঊর্ধ্বে কেউ নন। আমি সমালোচনা থেকে শিখি।’এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বইমেলা প্রাঙ্গণ তার নিজস্ব ঠিকানা পেল। আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত, যখন সরকারে ছিলাম না তখন থেকে পরিচয় সুধাংশদা এবং দিলীপদার সঙ্গে। তাঁরা বইমেলার জন্য একটু জায়গা চেয়ে বেড়াতেন। একটু জায়গা দাও, একটু জায়গা দাও। এ বার সেই স্থায়ী জায়গা পেল বইমেলা। এই মেলা বিশ্বকে একজায়গায় করেছে।’এবারের বইমেলায় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ৬টি বই প্রকাশিত হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই তিনি এদিন বলেন, ‘১২৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে আমার। ‘লহ প্রণাম’, ‘মহীয়সী’, ‘ছড়ায় ছড়ায়’, ‘দুয়ারে সরকার’, ‘স্যালুট’, ‘কবিতাবিতান’ এবার ইংরাজিতে। রাজনীতিবিদরা বই লিখতে পারেন না? সমাজ সংস্কারকরাও তো একাধিক বই লিখেছেন। আমি খুব ক্ষুদ্র মানুষ। আমার সবটাই কুৎসার আঙিনায়, অপপ্রচারের আলিঙ্গনে। কারও কারও পছন্দ নাও হতে পারে। তবে আমি সমালোচনার ঊর্ধ্বে নই। সমালোচনার থেকে আমি শিখতে পারি। যে তোমায় খারাপ বলে বলুক, তুমি খারাপ বলো না। কিন্তু, আজকাল সমালোচনা একটু বেশিই হয়। একটা উইপোকা কামড়ালেও সেটা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। অথচ কত ভালো ভালো বই লেখা হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও কথা হয় না। নেগেটিভিটি একটা চিন্তাধারা হয়ে গিয়েছে। আমি বলব নেতিবাচক কথাবার্তা সরিয়ে রেখে আমাদের শান্তি এবং সৌভ্রাতৃত্ব রক্ষার্থে এগিয়ে আসা উচিত। দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। গণতন্ত্র রক্ষার্থে আমাদের সরব হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *