প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বি সি রায় শিশু হাসপাতালে আবারও এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ৯ দিন আগে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বারাসতের রোজা সুলতানা নামে ১০ মাসের ওই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শিশুটির মৃত্যু হয়। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃত শিশুর পরিবার। পাশাপাশি তারা নার্সদের বিরুদ্ধেও ঠিক মতো পরিষেবা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। তবে শিশুটি অ্যাডিনো ভাইরাসেই আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।বিগত কয়েক দিনে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে ১২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ২ জনের অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে এবং বাকিদের কোমর্বিডিটি ছিল। তবে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যেই একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
শুরু হয়েছে একটি হেল্প লাইন নম্বরও। হেল্প লাইনের টোল ফ্রি নম্বরটি হল ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪২২২। রাজ্যের তরফে অ্যাডিনো ভাইরাসকে সামাল দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন সামাল দেওয়ার জন্য রাজ্যে ১২১টি হাসপাতালে সব মিলিয়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি বেড তৈরি রাখা হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী গতকাল আরও জানিয়েছেন, রাজ্যে বর্তমানে প্রচুর এসএনসিইউ, পিকু, নিকু বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাড়ির লোকেদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন, ঘাবড়ে না গিয়ে আরও বেশি করে সতর্ক থাকার জন্য। তবে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পিছনে দূরবর্তী জেলার হাসপাতালগুলি থেকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করাও যে একটি বড় কারণ, এমনও মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসক মহলের একাংশও মেনে নিচ্ছেন এই সমস্যার কথা।বর্ধমান হাসপাতালের এমএসভিপি তাপস ঘোষ বলেন, ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। প্রতি বছরই এই সময়ে জ্বর, সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ে। অ্যাডিনো কোনও নতুন ভাইরাস নয়।