Breaking News

‘এটা কী করে সম্ভব?’গ্রুপ সি মামলায় কমিশনের হলফনামা দেখে হতবাক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- এসএসসি’র গ্রুপ সি মামলায় কমিশনের হলফনামায় চাঞ্চল্য। ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা NYSA’র সার্ভারে প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ৪০ হওয়া সত্ত্বেও কমিশনের সার্ভারে ১০। একই প্রার্থীর নম্বরের এহেন গরমিল দেখে বিস্মিত কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। “এটা কী করে সম্ভব?”, প্রশ্ন বিচারপতির।শুক্রবার আদালতে হলফনামা দিয়ে SSC স্বীকার করে গ্রুপ সির OMR শিটেও কারচুপি হয়েছে। হলফনামা হাতে নিয়ে বিচারপতি দেখেন, সেখানে OMR শিট পরীক্ষাকারী সংস্থা নাইসার সারভারে যার নম্বর ৪০, কমিশনের সারভারে তার নম্বর ১০। কী করে এই ঘটনা ঘটল তা SSC-র কাছে জানতে চান বিচারপতি। তখন SSC-র আইনজীবী বলেন, অযোগ্যদের সুযোগ করে দিতে সেই সময় SSC-র দায়িত্বে থাকা কর্তারা এই কাজ করে থাকতে পারেন।

এর পর গ্রুপ সির ৩,৪৭৮টি OMR শিট ৯ মার্চের মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর মধ্যে ৩০০টি OMR শিট বাদ দিয়ে বাকিগুলিতে কারচুপি হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে SSC | এদিন আদালতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই দুর্নীতি যখন হয়েছে তখন এসএসসির সভাপতি ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাকে দফায় দফায় জেরা করা উচিত সিবিআইয়ের।এদিন গ্রুপ সি মামলায় কমিশনের হলফনামা দেখে কার্যত বিস্ময়প্রকাশ করেন বিচারপতি। কীভাবে NYSA এবং কমিশনের সার্ভারে একই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর দু’রকম হল, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানান হয়, “সেই সময় কমিশনে থাকা ব্যক্তিরা অযোগ্যদের নিয়োগ করার জন্য এমন করে থাকতে পারে।” এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই দুর্নীতি নিয়ে সবথেকে বেশি বলতে পারবেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কারণ, তিনিই সে সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। সিবিআইয়ের উচিত এদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা।” বর্তমানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ জেলবন্দি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *