প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বাড়ছে ব্যাটারিচালিত গাড়ির সংখ্যা। মানুষের মধ্যে পরিবেশবান্ধব গাড়ি কেনার প্রবণতাও বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যোগ্য কর্মীর চাহিদাও। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার এঁদের প্রশিক্ষণের জন্য সেন্টার অফ এক্সেলেন্স বা উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ছে রাজ্য। যা শুধু বাংলাতেই নয়, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্যেও পরিবেশবান্ধব গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে, গাড়ি কেনার আগে, সকলেই তার রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টা চিন্তা করে। ফলে, এই কাজে পারদর্শী ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়াটাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।কলকাতা শহরের বুকে ও আশেপাশে এলাকায় বায়দূষণ কমানোর পাশাপাশি জ্বালানী জ্বালা কমাতে ই-বাস ও ই-কার চালানোর ক্ষেত্রে জোর দিয়েছেন। এর জন্য রাজ্য সরকার যেমন এখন বেশি পরিমাণে ই -বাস চালাচ্ছে তেমনি i-কার কেনার ক্ষেত্রে আর্থিক ছাড় দিচ্ছে। এই সব ই -বাস ও ই-কার এ থাকে ব্যাটারি যা চার্জ করতে হয় নিত্যদিন। সেই চার্জ করার সুবিধা সবার বাড়িতে যেমন থাকে না তেমনি সব জায়গায় তা মেলেও না। এই কারণে রাজ্য সরকার এখন যেমন জোর দিচ্ছে বড় রাস্তার আশেপাশে এলাকায় থাকা পেট্রোল পাম্পগুলিতে চার্জিং পয়েন্ট চালু করতে তেমনি এই সব ব্যাটারি চালিত ইলেকট্রনিক যানবাহণের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এবার রাজ্য সরকার Center of Excelence বা উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তুলতে চলেছে।পাশাপাশি, একটি গ্রিন এনার্জি পলিসি বা বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে নয়া নীতি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই সমস্ত সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দু’দিনের একটি ওয়ার্কশপ হয়ে গেল কলকাতায়।
যৌথভাবে আয়োজন করেছিল ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশন কলকাতা ও রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা কাউন্সিল। এই আলোচনা সভায় রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব অনুপ আগরওয়াল জানান, ২০২১ সাল থেকেই রাজ্যে ই-ভেহিকেলের উপর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো চালু হয়েছে। এবার একটি সেন্টার অফ এক্সেলেন্স গড়ে তোলা হবে। এই অনুষ্ঠানে ছিলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এস সুরেশ কুমারও। তিনিও এদিন ই-ভেহিকেলের ব্যবহার বাড়াতে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরেন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal