Breaking News

‘‌একদিন এই তৃণমূল পার্টির সিম্বলই চলে যাবে’‌,জাতীয় দলের তকমা হারানো তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-তৃণমূল কংগ্রেসের ‘‌সর্বভারতীয়’‌ তকমা কেড়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর তাতে বেজায় খুশি বিজেপি।একাধিক রাজ্যে নির্বাচনে হতাশাজনক ফলাফল-সহ বেশ কয়েকটি কারণে সদ্য জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছে তৃণমূল। সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন একথা জানিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এ রাজ্যের শাসকদলের এই স্বীকৃতি হারানোকে বড়সড় ধাক্কা বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। অন্তত নেতাদের কথায় তা স্পষ্ট। মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ এ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন। আজ, মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে এসে ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় তকমা চলে গেল বলে তাঁর কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। তখন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যে ধরনের দুর্নীতি হিংসা, মারামারি, সাম্প্রদায়িক হিংসা হচ্ছে তার ফলে সারা ভারত তৃণমূল কংগ্রেসের আসল রূপটা জেনে গিয়েছে। কোথাও কেউ আর ভোট দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসকে। প্রচুর টাকা খরচা করেছেন, গোয়া এবং ত্রিপুরায়। আর কোথাও ভোট পায়নি। তাই তাদের ভোটের পার্সেন্টেজ কমে গিয়েছে।’‌দিলীপ ঘোষ এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচাও দিয়েছেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘‌সর্বভারতীয় তকমা চলে গেল তার থেকেও বড় কথা পশ্চিমবঙ্গে তারা এখন অস্তিত্বের জন্য লড়াই করছে। সর্বভারতীয় পার্টি হবার স্বপ্ন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন, দিল্লি জেতার স্বপ্ন, আপাতত মুলতুবি রাখতে হবে।’‌ কিন্তু আম আদমি পার্টি সর্বভারতীয় তকমা পেল। এই ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘‌রাজনীতিতে পরিবর্তন হতেই পারে। কোনও বিশেষ কারণে যদি কোনও পার্টি তৈরি হয় তাহলে অবস্থা এরকমই হবে। যার কোন নীতি–আদর্শ নেই, উন্নয়ন নেই। ভারতবর্ষের রাজনীতি পাল্টাচ্ছে।

আগের মতো করে কেউ জাতপাত নিয়ে রাজনীতি করে টিকে থাকতে পারবে না।’‌এই ঘটনায় আইনি পথে যেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। এটা শুনেই মেদিনীপুরের সাংসদের হুঁশিয়ারি, ‘‌আইনি পথে সবাই যেতে পারেন। আমি তো বলি নির্বাচন কমিশনের সামনে ধরনা শুরু করে দিন। ইট পাথর মারুন। যেটা তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। আদালতে গিয়ে কি হবে? নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তেই আদালত সম্মতি জানাবে। এখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তাই হয়েছে। সংবিধান নিয়মকানুন এরা কিছুই মানেন না। এই পার্টিটাকেই সম্পূর্ণভাবে ব্যান করা উচিত প্রাদেশিক বা সর্বভারতীয় নয়। পশ্চিমবঙ্গে একটা নির্বাচন তো শান্তিপূর্ণ হোক। না হলে একদিন না একদিন এই তৃণমূল পার্টির সিম্বলই চলে যাবে।’‌ দলের তরফে জয়প্রকাশ মজুমদারের পাল্টা খোঁচা, ”জাতীয় দলের তকমা হারানোর বিষয়টা নিয়ে তৃণমূল মোটেই এত সহজে পিছু হঠবে না। আইনি পথে হেঁটে এর নিষ্পত্তি করা হবে। সুতরাং, এখনই তৃণমূলের ধাক্কা বলে আনন্দ পাওয়ার কিছু নেই।” এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে খবর।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *