প্রসেনজিৎ ধর :- বাংলায় এবার উদ্বোধন হল অস্থায়ী মহল্লা ক্লিনিকের। নয়াদিল্লিতে এই ক্লিনিকের বেশ জনপ্রিয়তা আছে। নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই ‘মহল্লা ক্লিনিক’–এর উদ্যোক্তা। এবার আম আদমি পার্টির উদ্য়োগে মুর্শিদাবাদে এই মহল্লা ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হল। বাংলার মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে থাকেন সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সরকারি হাসপাতাল থেকে। তবে এখন বড় চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে যেতে পারছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের দৌলতে। এবার তার সঙ্গে বাড়তি সংযোজন মহল্লা ক্লিনিক। প্রত্যেক শনিবার ও রবিবার মিলে মোট ন’টি জায়গায় এই পরিষেবা দেওয়া হবে বলে খবর। আর তার জেরে প্রায় ১২০০ মানুষ বিনামূল্যে এই চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধা পাবেন |বস্তুত, দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীবালের আপ সরকারের প্রকল্প ‘মহল্লা ক্লিনিক’নজর কড়েছে। পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটেও এই প্রকল্পকে অন্যতম হাতিয়ার করে ক্ষমতা দখল করেছে আপ সরকার। তাহলে কি বাংলায়ও ‘মহল্লা ক্লিনিক-কে’ হাতিয়ার করে এগোতে চাইছে কেজরীবালের সরকার?
সেই প্রশ্নই উঠছে। এর আগে উত্তরবঙ্গে গঠিত হয়েছিল আম আদমি পার্টির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি। ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছিল। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছিল তাহলে বাংলায়ও নিজের বিস্তার করতে চাইছে আপ? কারণ সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আর তারপরই লোকসভা নির্বাচন। বঙ্গে নিজেদের জমি ধরে রাখতে বিরোধী দলগুলো একাধারে যেমন সর্বত চেষ্টা করে চলেছে সেই রকমভাবে আপ-ও কি নিজেদের ডালপালা বিস্তার করতে চাইছে সে বিষয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও আপ নেতা সোহেল রানা আলম বলেন, “আমরা চাই যে অরবিন্দ কেজরীবাল প্রধানমন্ত্রী হন। তবে সরকারে আসতে আমরা কেউ রাজনীতিতে আসিনি। ক্ষমতায় আসি বা না আসি মানুষকে তাঁর মৌলিক অধিকার দেওয়া আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।”আজ মুর্শিদাবাদ বিধানসভার নতুন গ্রামে এই মহল্লা ক্লিনিকের আয়োজন করা হয়। ১২ জন চিকিৎসকের একটি দল সেখানে চিকিৎসা করেন রোগীদের।সোহেল রানা আলম বলেন, “দিল্লিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে এই পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে-গ্রামে এই পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। তারপর এই মহল্লা ক্লিনিক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।