দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র গত ৯ অগস্ট রাতে কীভাবে হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন? ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে সেখানে হাজির হয়েছে ফরেন্সিক দল। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও সঙ্গে আছেন। ওই পুতুলের মাধ্যমেই সে দিনের ঘটনাপ্রবাহ নতুন করে সাজানো হচ্ছে। রহস্যের সমাধানসূত্র খুঁজছেন তদন্তকারীরা।ঠিক কী ঘটেছিল ৯ আগস্ট রাতে? কীভাবে হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়েছিল প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র। তা এখনও রহস্য। ধৃতদের জেরা করেও রহস্যভেদ করতে পারছেন না তদন্তকারীরা। কারণ, পুলিশি জেরায় ধৃতদের বয়ান বদলাচ্ছে বারবার। তবে মোটের উপর ব়্যাগিংয়ের বিষয়ে নিশ্চিত পুলিশ। তবে ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে। কীভাবে পড়ে গেল ছাত্র। তা জানতে একটি ডামি পুতুল তৈরি করা হয়েছে। যার ওজন মৃত ছাত্রের সমান। একটি পা সামান্য মোড়ানো। যাদবপুর থানা থেকে পুতুলটি নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলে যান সাইন্টিফিক বিভাগ ও ফরেনসিক বিভাগের আধিকারিকরা।এদিন হস্টেলের বারান্দা থেকে ডামি পুতুলটি ফেলে দেখেন তদন্তকারীরা। দেখা হয়, ঠিক কতটা দূরে পড়ছে পুতুলটি। কীভাবে পড়ছে। এই পুননির্মাণের উপর ভিত্তি করে তদন্ত এগোতে সুবিধা হবে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা।এর আগে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য ধৃত ছাত্র সপ্তক কামিল্যাকে নিয়ে হস্টেলে গিয়েছিল পুলিশ। এবার, পুতুলের মাধ্যমে পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের আকারের সেই পুতুল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ঢুকেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। পুতুলটি গাড়ি করে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে মানুষের মতো জামাকাপড়ও পরানো হয়েছে। এর আগে সপ্তককে হাঁটিয়েই হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মেন হস্টেলের এ২ ব্লকের যে তিন তলার বারান্দা থেকে নদিয়ার ছাত্র পড়ে গিয়েছিলেন, সেখানে পুতুলটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে খবর। পুতুলটিকে উপর থেকে নীচে ফেলে দেখা হচ্ছে। পুলিশে ছয়লাপ হস্টেল চত্বর।আছেন লালবাজারের গোয়েন্দা এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট যাদবপুরের মেন হস্টেলে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের ছাত্রের। সেই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৩ জন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal