দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ২৬ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে ইডি। নিয়ম অনুযায়ী এ দিন সশরীরে আদালতে হাজিরা দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ এবং চার্জশিটে নাম থাকা অন্যেরা। সেখানেই মুখোমুখি হন ‘অপা’ – অর্পিতা মুখাপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেদিন আদালত কক্ষে তাঁদের দেখা হয়। তবে তাঁরা কথা বলেননি। যদিও পার্থ নাকি অর্পিতার দিকে তাঁকিয়েছিলেন|২০২২ সালের ২২ জুলাই, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ওই একইদিনে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার অভিজাত আবাসনে লাগাতার তল্লাশি চালায় ইডি। সবমিলিয়ে নগদ ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকরা। সেই প্রসঙ্গ তুলে শুক্রবার আদালতে পার্থর আইনজীবী জানান, ওই বছরের ৪ আগস্ট অর্পিতা স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার হয় সেটা তাঁর নয়, পার্থর টাকা। কিন্তু লিখিত বয়ানে কোনও সই নেই। পার্থর প্রশ্ন, “কী করে জানবো কারও কাছ থেকে জোর করে লিখিয়েছে কি না? কারও থেকে কিছু পেলে কী আমি দায়ী?ইডির অভিযোগ, ৩টে ডামি কোম্পানি তৈরি করে অর্থ তছরূপ হয়েছে। পার্থ ‘ডামি’ ডিরেক্টর রেখেছিলেন। পার্থর আইনজীবী পালটা দাবি করেন, ইডি কতগুলো কোম্পানি নাম বলেছিল। সেখানের ৫ জন ডিরেক্টরের কথা বলে তারা। তাঁদের মধ্যে ২ জনের স্টেটমেন্ট রেকর্ড করা হয়েছে। ১ জন পার্থকে চেনেনই না। পার্থ দাবি করেন, “আমার বাড়ি থেকে কিছু পাওয়া যায়নি।” আইনজীবীর আবেদন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কোনওভাবেই এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন, তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। এই মামলায় গত সোমবার চার্জ গঠনের কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানান ৯ অভিযুক্ত। তাতেই পিছিয়ে যায় চার্জ গঠন। বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-সহ মোট ৫৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই দিনই বিচারক জানান শুক্রবার অভিযুক্তদের অব্যহতি চাওয়ার শুনানি শুরু হবে। সেই মোতাবেক আজ শুনানি হল।