নিজস্ব সংবাদদাতা সাহা :- পণের বলি,বিয়ের এক মাস কাটতে না কাটতেই খুন বধূ |শ্বশুর, স্বামী, ভাসুর ও বৌদির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল মৃতের পরিবারের লোকেরা। গ্রেফতার স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুরে।একমাসের মধ্যেই মেয়ের নিথর দেহ দেখলেন তাঁর বাবা-মা। অভিযোগ, যৌতুক হিসেবে পালঙ্ক দিতে না পারায় স্ত্রীকে খুন করেছেন স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকতজন। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের বাড়ির মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হতো। এই ঘটনায় স্বামী অরুপ নস্কর, শ্বশুর প্রণব নস্কর, ভাসুর স্বরুপ নস্কর ও বৌদি পুজা নস্করের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানার খুনের অভিযোগ দায়ের। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম সীতা মন্ডল। বাড়ি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনারই ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর এলাকায়। দেখাশোনা করে চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর বিয়ে হয়েছিল সীতার। স্বামী অরূপ নস্কর সোনারপুরের কালিকাপুরের মুড়োগাছির এলাকার বাসিন্দা। কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার একটি কারখানা কাজ করেন তিনি।বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে মেয়ে উপর রীতিমতো অত্যাচার চালাতেন শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। ২৪ ডিসেম্বর রাতে শেষবার সীতার সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর বাবা-মায়ের। এরপর গতকাল, বুধবার ২৫ ডিসেম্বর সকালে বেশ কয়েকবার ফোন করেছিলেন তাঁরা, কিন্তু ফোন ধবেননি ওই বধূ। দুপুরে মেয়ের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় বাবাকে। সীতার বাবা দিব্য কুমার মণ্ডল বলেন, “ছেলে আমায় সময় দিয়েছিল। বলেছিল এই তারিখের মধ্যে খাট-বিছানা দিতে হবে। সেই কারণে মেয়েটাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে। মা-বৌদি-স্বামী মিলেই মেরে ফেলেছে ওকে।”