দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-রাজ্যের ১০টি জেলায় সম্পাদক পদে বদল আনতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। কারণ তাঁরা পাখির চোখ করেছে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তাই সিপিএমের জেলা সম্মেলন চলাকালীন নদিয়া এবং জলপাইগুড়ি জেলায় সম্পাদক পদে বদল এসেছে।সিপিএমের জেলা সম্মেলন পর্ব শুরু হওয়ার পর ইতিমধ্যে নদিয়া ও জলপাইগুড়ি জেলায় সম্পাদক পদে নতুন মুখ এসেছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্যর পর্যবেক্ষণ— উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, হাওড়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলায় সম্পাদক পদে নতুন মুখ আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের মতো কিছু জেলায় সম্পাদক পদে আপাতত বদলের সম্ভাবনা নেই।নির্দিষ্ট বয়স পেরিয়ে গেলে ব্রাঞ্চ কমিটি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি— যে কোনও স্তর থেকে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে বিদায় নিতে হবে। বয়স সত্তর হয়ে গেলে জেলা সম্পাদক অথবা জেলা কমিটি থেকে সরে যেতে হবে। এই নিয়মগুলি চালু হওয়ার পর বঙ্গ সিপিএমের জেলা সংগঠনে মুখ–বদলের হাওয়া বইতে শুরু করে। কিন্তু একলপ্তে এতগুলি জেলায় সম্পাদক পদে বদলের নজির প্রায় নেই বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।বড়দিনের আগে চারটি জেলায় সিপিএমের সম্মেলন শেষ হয়। চারটির মধ্যে দু’টি জেলাতে সম্পাদক বদলও হয়েছে। নদিয়া জেলায় সুমিত দে’কে সরিয়ে নতুন সম্পাদক হন মেঘলাল শেখ। আর জলপাইগুড়িতে সলিল আচার্যের জায়গায় জেলায় সম্পাদক হন পীযূষ মিশ্র। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব–পশ্চিম বর্ধমানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলায় এখন সম্মেলন বাকি। সিপিএমের এক নেতা বলেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, পুরুলিয়াতে সম্পাদক বদল হতে পারে। কলকাতাতেও সম্পাদক পদে বদল হতে পারে।’