প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন? এই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। একটা অংশ চান শুভেন্দু অধিকারীকে করা হোক রাজ্য সভাপতি। আর একটা অংশ সেটার বিরোধিতা করছেন। এই আবহে এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, ‘অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে তত্কালীন নেতারা, যাঁরা জনসঙ্ঘের নেতা ছিলেন, পরবর্তী সময়ে যাঁরা ভারতীয় জনতা পার্টি তৈরি করেছিলেন আমি, তাঁদের ইতিহাস ও আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধতাটা সবার সামনে এনেছি। দায়বদ্ধতা প্রত্যেকেরই থাকা উচিত। যাঁরা বিভিন্ন দল করে, সেই দলের প্রতি থাকা উচিত’। বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, ‘সুকান্ত মজুমদারের বিজেপির প্রতি আছে। সুকান্ত মজুমদার সাংসদ থাকলেও বিজেপি, না থাকলেও বিজেপি। গোটা ভারতবর্ষে ৩০৩ সাংসদ থাকলেও সুকান্ত মজুমদার বিজেপি। যখন বিজেপির হয়তো একটাও সাংসদ থাকবে না, যদিও এরকম দিন আসবে না কোনওদিনও, যদি হয়, সেদিনও সুকান্ত মজুমদার বিজেপি’।বাংলায় একুশের নির্বাচনের পর থেকে হারছে বিজেপি। পঞ্চায়েত, পুরসভা, লোকসভা এমনকী সমবায় নির্বাচনেও পর পর হেরেছে বিজেপির। বাংলায় সাংসদ সংখ্যা ১৮ থেকে কমে এখন ১২ হয়েছে। বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে ৬৬’তে নেমেছে। এরপর রাজ্যের একের পর এক উপনির্বাচনে ভরাডুরি হয়েছে বিজেপির। আর তা সবটাই সুকান্ত মজুমদারের আমলে। সবকটি আসনেই জিতেছে তৃণমূল। এমনকী, মাদারিহাটেও উপনির্বাচনে ফুটেছে ঘাসফুল। তাই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থাকুক এটা অনেকেই চান না।বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি কে হচ্ছেন? এই প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত সাফ বলেন, ”এখনও দল কাউকে দায়িত্ব দেয়নি। আপাতত আমিই রাজ্য সভাপতি থাকছি।” প্রসঙ্গত, বিজেপির সংবিধান অনুসারে, কোনও ব্যক্তি একসঙ্গে ২টি পদে থাকতে পারেন না। ফলে সুকান্ত মজুমদার মন্ত্রী হওয়ায় তাঁকে রাজ্য সভাপতি পদে ইস্তফা দিতেই হবে। যে কারণে রাজ্য বিজেপির সভাপতি রদবদল এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।