দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কলকাতা জাদুঘরের অন্যতম আকর্ষণ হল মমি। সে কবেকার কথা। সেই মমি আজও রয়েছে কলকাতা জাদুঘরে। কিন্তু এবার ঠিকানা বদল হল সেই মমির। কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন এই মমি। বর্তমানে তার ঠিকানা কলকাতা জাদুঘরে। তবে যে ঘরে এই মমিটি রয়েছে সেখানে বর্তমানে সংস্কার কাজ করা হবে। সেকারণেই এবার অন্য় ঘরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ১৮৩৪ সালে মিশরের একটি শহর থেকে লেফটেন্যান্ট ই সি আর্চবোল্ড ওই মমিটিকে খুঁজে পান। মমিটি পুরুষ না মহিলার, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। ১৮৩৪ সালে মমিটির ঠাঁই হয় এশিয়াটিক সোসাইটি মিউজ়িয়ামে। পরে ১৮৮৩ সালে তা আসে ভারতীয় জাদুঘরে।
পাঁচ দিক কাচ দিয়ে মোড়া বাক্সে মমিকে অতি যত্নে রাখা হয়। ভারতীয় জাদুঘরের অধিকর্তা অরিজিৎ দত্তচৌধুরী বলেন, ‘‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে মমিকে ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এবং ৬০ শতাংশের কম আর্দ্রতার মধ্যে রাখতে হয়। কাচের বাক্সে রাখা ‘সিলিকা জেল’ নিয়মিত পাল্টাতে হয়। অন্য ঘরেও এমনই আবহাওয়ার মধ্যে রাখা হয়েছে।’’ ভারতীয়
জাদুঘরের উপদেষ্টা পুরাতত্ত্ববিদ সত্যকাম সেন বলেন, ‘‘যত দূর মনে পড়ে, আগে জাদুঘরের একতলায় মমি থাকত। ১৯৮৯ সালে সেটিকে দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পরে এ বার ঘর বদলানো হল।’’ চলতি মাসেই সংস্কারের কাজ শেষ করে মমিকে ফেরানো হবে তার পুরনো ঘরে। অত্যন্ত যত্নে রাখা রয়েছে এই মমিটি। কাচের বাক্সে যে সিলিকা জেল থাকে সেটা নিয়মিত পালটাতে হয়। বর্তমানে যে ঘরে এই মমিকে রাখা হয়েছে সেখানেও একই ধরনের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। মূলত প্রাচীন এই মমির যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেটা দেখা হয় সবসময়।