Breaking News

পুজো মিটলে ৩০ অক্টোবর রাজ্যে বাকি ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন,নির্ঘণ্ট ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- রাজ্যের বাকি কেন্দ্রগুলির উপনির্বাচন পুজোর পরেই, মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবর গোসাবা, খড়দহ, শান্তিপুর এবং দিনহাটায় উপনির্বাচন হবে| আর ফলঘোষণা ২ নভেম্বর | একইসঙ্গে তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, অসম, অন্ধ্র প্রদেশেরও একাধিক কেন্দ্রে ওই একই দিন উপনির্বাচন হবে | পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলি, মধ্য প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশের তিন লোকসভা কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ হবে ওইদিন | প্রসঙ্গত ভোটের ফল প্রকাশের পর গোসাবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর মারা যান | অন্যদিকে খড়দহের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কাজল সিনহা ভোটের ফল প্রকাশের আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান | কোচবিহারের দিনহাটা এবং নদিয়ার শান্তিপুরের ভোটে জিতেও বিধায়ক পদ ছেড়েছেন নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার | তাঁরা বিধানসভায় জিতেও সাংসদ পদে থেকে যান |ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের বক্তব্য, “নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করলে আমরা সব সময়ই ভোটের জন্য তৈরি | গণতন্ত্রে ভোটটা তো কাম্য | কিন্তু পুজোর মরসুম তো সে একটা বিষয়| তবে কমিশন চাইলে করতে হবে | আর আমরা নির্বাচনের জন্য যে কোনও দিন, যে কোনও সময়ই প্রস্তুত | আসলে দুর্গাপুজোর পর কালীপুজো, দীপাবলী সবই তো রয়েছে | তবে এটাও তো ঠিক আসনগুলো শূন্য | সেগুলিতেও তো জনপ্রতিনিধি দরকার|”অন্যদিকে এই ভোটের দিন ঘোষণা নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “নির্বাচন কমিশন যখন ঘোষণা করেছে, আমরা তো নিশ্চয়ই সেখানে লড়ব | কিন্তু ৩০ সেপ্টেম্বরের এই ঝামেলাটা যদি ৩০ অক্টোবরই করত, তা হলে কী সমস্যা হতো? নির্বাচন কমিশন যে শুধুমাত্র একজনকে জেতানোর জন্য সার্কুলারটা জারি করেছিল, এটা নির্বাচন কমিশনের মান, মর্যাদা, দীর্ঘদিনের নিরপেক্ষতাকে নষ্ট করে দিয়েছে |”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *