দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- এবার কালীপুজোতে সব ধরনের বাজির পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট |কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছটপুজোতে কোনওরকম বাজিই ফাটানো যাবে না বলে নির্দেশ আদালতের | কেননা তাঁদের আশঙ্কা, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ পরিবেশবান্ধব বাজির ছাড়পত্রের আড়ালে আদতে সব ধরনের বাজি বিক্রির রাস্তাই প্রশস্ত করে দিয়েছে যা কোভিডকালে মারাত্মক হতে পারে | সেই আর্জির কথা মাথায় রেখেই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সব ধরনের বাজিই এবার নিষিদ্ধ করছে আদালত | দিন প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, শুধুমাত্র ‘গ্রিন’ বাজি বিক্রি যাবে | কালীপুজোয় রাত আটটা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত পোড়ানো যাবে সেই পরিবেশবান্ধব বাজি | একইভাবে ছটপুজোয় দু’ঘণ্টা, বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতে ৩৫ মিনিট পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল | তবে মামলার রায় প্রদান করতে গিয়ে এদিন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে| এই অবস্থায় বাজি পোড়ানো, বিক্রি করার অনুমতি দেব কী ভাবে? বৃহত্তর মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত| ক্রেতা, বিক্রেতা, প্রস্তুতকারী সংস্থা সবার কথা ভাবতে হবে | পরিবেশবান্ধব বাজির অনুমতি দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, কিন্তু সেগুলো কী ভাবে পরীক্ষা করা হবে? সাধারণ বাজিকে যে পরিবেশবান্ধব বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার্স বলে বিক্রি করা হবে না তারই বা নিশ্চয়তা কোথায় | কে পরীক্ষা করবেন সেই বাজি তার কোন উত্তর পর্ষদের কাছে নেই |’ প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বেলেই কালীপুজো, ছটপুজো-সহ যাবতীয় উৎসব পালন করতে হবে | সব ধরনের বাজিতেই এবার নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে | এমনকী শব্দবাজি না হলেও তা পোড়ানো যাবে না | কোনও ধরনের ফায়ার ক্র্যাকার্সই ব্যবহার করা যাবে না| একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, বাজি যে ব্যবহার হচ্ছে না সেটা দেখবে রাজ্য |
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal