দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বৃহস্পতিবার রাতে নিজের বাড়ির কালীপুজোকে ফেলে রেখে দিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অসুস্থতার খবর শুনে ছুটেছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে| তারপর চোখে জল নিয়ে বেরিয়ে এসে বললেন, ‘ওঁর মরদেহ দেখতে পারব না |’ তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘এমন আলোর দিনে অন্ধকার নেমে আসবে ভাবতেও পারিনি |’ আজ শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | আজ এই বর্ষীয়ান মন্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে | সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত তাঁর দেহ শায়িত থাকবে রবীন্দ্র সদনে | তারপর তা যাবে গড়িয়াহাটের বাড়িতে| সেখান থেকে একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে | তারপর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে| এদিন মুখ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় লিখলেন লিখলেন, ‘রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও শিল্প পুনর্গঠন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি | সুব্রতদা ক্রেতা সুরক্ষা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন | হাসিমুখে তিনি জেলায় জেলায় ঘুরে আমাদের সরকারের কাজে অতুলনীয় অবদান রেখেছেন| কলকাতার মেয়র হিসাবে কলকাতার সামগ্রিক উন্নয়নে তাঁর বিশেষ ভূমিকা স্মরণীয়|’
এর সঙ্গে তুলে ধরলেন কিছু স্মৃতি আর সমবেদনা তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি | লিখলেন, ‘সুব্রতদা ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যুক্ত থেকেছেন | ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকেই আমি তাঁর সঙ্গে থেকেছি, তাঁর নেতৃত্বে বড় হয়েছি | সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড এবং শারদীয়া দুর্গাপুজোর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি | সুব্রতদার সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের সুসম্পর্ক ছিল | তিনি আমার অগ্রজ ও অভিভাবকতুল্য ছিলেন | তাঁর প্রয়াণ আমার কাছে এক বিরাট ক্ষতি শুধু নয়, রাজ্যের তথা দেশের রাজনৈতিক জগতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করল | আমি ছন্দবাণী বৌদি- সহ সুব্রতদার পরিবার, পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি |’