প্রসেনজিৎ ধর :- রাজ্যে চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের প্রাধান্য দিতে হবে | জানতে হবে আঞ্চলিক ভাষা | রাজ্য সার্ভিসের চাকরির ক্ষেত্রে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশও দেন | বুধবার মালদহের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থানের সময় যেন সেই রাজ্যের লোকেরা চাকরি পান | ‘আমি সব রাজ্যের জন্যই বলছি| বাংলা হলে বাংলা রাজ্যের জন্য | বাংলায় যাঁরাই বাস করুন | ভাষায় তিনি রাজবংশী হতে পারেন, কামতাপুরি হতে পারেন | আবার হিন্দি হতে পারে, আমার কোনও আপত্তি নেই | বাংলা ভাষাটা জানতে হবে | বাংলাটা তাঁর ঠিকানা হতে হবে | বিহারে বিহারের লোকেরা পাবেন | নাহলে বিহারের লোকেরা বিহারের সরকারকে ধরবেন | উত্তরপ্রদেশে উত্তরপ্রদেশের লোকেরা পাবেন | নিশ্চয়ই পাবেন | সব রাজ্যেই সেই রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যেন কর্মসৃষ্টিতে কর্ম পান |’এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে তেমন কোনও নিয়মের কথা বলছেন না | কারণ সেখানে সব রাজ্যের ছেলেমেয়েদের নেওয়া হয় | কিন্তু রাজ্য সার্ভিসের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে সেই নিয়ম | মমতা বলেন, ‘রাজ্য সার্ভিসের ক্ষেত্রে যে কমিশন আছে, সেখানে রাজ্যের অন্য জায়গা থেকে এসে ভালো নম্বর থাকায় কেউ চাকরি পেয়ে গেলেন | কিন্তু লোকাল ছেলেমেয়েরা পেলেন না | কারণ তাঁর থেকে নম্বরটা কম | ফলে তিনি (ভিন রাজ্যের প্রার্থী) যখন সরকারের কোনও জায়গায় গিয়ে কাজ করছেন না, সে কিন্তু ভাষাটা জানেন না |’ ফলে কোনও মানুষ যখন একজন বিডিওয়ের কাছে যাচ্ছেন বা এসডিওয়ের কাছে যাচ্ছেন বা স্থানীয় প্রশাসকের কাছে যাচ্ছেন, তখন তিনি (ভিন রাজ্যের প্রার্থী) চিঠি পড়তে পারছেন না | উত্তর দিতেও পারছেন না | তাই স্থানীয় ভাষা জানা ‘মাস্ট’ | ‘অন্য ভাষা জানলে কোনও আপত্তি নেই| যেখানে কাজ করবেন, সেখানকার স্থানীয় ভাষা জানা থাকতে হবে | আঞ্চলিক ভাষাটা জানতে হবে। নাহলে জেলায়, ব্লকে কাজ করা যাবে না |’ বুধবার ছিল মালদহ, মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক বৈঠক | সেখানেই উত্তরবঙ্গে কর্মসংস্থান তৈরি এবং বিনিয়োগ টানতে একাধিক পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী | সরব হন কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়েও | মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কেন্দ্র সবসময় আমাদের বঞ্চনা করে| তার পরেও বাংলা এগিয়ে গিয়েছে |”