দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- মঙ্গলকোট মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। ৫ মার্চ ২০১০ সালের মঙ্গলকোট মামলা। ভোট পরবর্তী সেই অশান্তি মামলাতেই বেকসুর খালাস অনুব্রত মণ্ডল। শুধু অনুব্রত মণ্ডলই নন, মঙ্গলকোট মামলায় চার্জশিটে নাম থাকা মোট ১৪ জনকেই বেকসুর খালাস করেছে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। তথ্য-প্রমাণের অভাবে এই ১৪ জনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে।এদিন অনুব্রতর আইনজীবী সৌভিক বসু জানান, ”আজ আমার মক্কেল অনুব্রত মণ্ডল এবং আরও কয়েকজন অভিযুক্তকে আদালত বেকসুর খালাস করেছে। মঙ্গলকোট হিংসা মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে মামলাকারীর আইনজীবীরা।” আদালত থেকে বেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, ”আমাদের বেকসুর খালাস করল আদালত। সত্যের জয় হল। এটা ২০১০ সালের কেস। আমার ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করেছিল। আজ মহামান্য আদালতে রায়ে আমরা বেকসুর খালাস পেলাম।”এরপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, পরবর্তী মামলাতেও এভাবেই মুক্ত হবেন? তাতে তাঁর আত্মবিশ্বাসী উত্তর, ”আমি কি অন্যায় কিছু করেছি নাকি? খালি দেখতে থাকুন কী হয়।” উল্লেখ্য, ২০১০ সালের মে মাসে মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় অনুব্রত মণ্ডলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়েছিল। এই ১৫ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে আইপিসির একাধিক ধারায় চার্জ গঠন করে মামলা চলতে থাকে।বৃহস্পতিবার ফের খোলাখুলি, দুর্নীতির মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘অনুব্রতকে বীরের সম্মান দিয়ে, জেল থেকে বের করে আনতে হবে। ‘ দলনেত্রীর ওই মন্তব্যের পরই আজ জেল থেকে বেরনোর সময় অনুব্রতর গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর। প্রসঙ্গত, গোরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। খারিজ হয়ে গিয়েছে তাঁর জামিনের আবেদন। আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি। এদিন সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয় বিধাননগর এমপি-এলএ আদালতে। মঙ্গলকোট মামলার রায় ঘোষণার পর আবার তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে আসানসোল সংশোধনাগারে।