প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হচ্ছে না টালা ব্রিজের কারণ, এখনও মেলেনি চূড়ান্ত রিপোর্ট। তবে পুজোর আগেই উদ্বোধন হবে ব্রিজের। একথা জানিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুর নিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম | নতুন টালা ব্রিজ তৈরির পর বিশেষজ্ঞ কমিটি তা পরীক্ষানিরীক্ষা করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার পরই ব্রিজে যান চলাচল চালু হওয়ার কথা। কাজ শেষের পর প্রশাসনের দাবি ছিল, মহালয়ার আগে ব্রিজটি চালু করে দেওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু আইআইটি, খড়গপুরের ইঞ্জিনিয়ারদের তরফে এখনও চূড়ান্ত রিপোর্ট মেলেনি বলে সরকারি সূত্রে খবর। তা হাতে পেতে ২৭ কিংবা ২৮ তারিখ হবে। সেই রিপোর্ট দেখেই ২৯ তারিখ টালা ব্রিজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার, এমনটাই সূত্রের খবর । শুক্রবার এমনই বিস্তারিত তথ্য জানালেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ জানিয়েছেন, প্রথম দিকে এই ব্রিজ দিয়ে হালকা গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। পরে পরিস্থিতি বুঝে ভারী গাড়ি চলাচলে ছাড় দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের তরফে মন্ত্রীর আশ্বাস, পুজোর আগে খুলবেই এই ব্রিজ।যদিও শহরবাসীর আশ্বস্ত করে পুজোর আগেই ব্রিজ খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মেয়র। পুজোর আগে এই ব্রিজটি চালু হলে উত্তর কলকাতার পুজোদর্শন অনেকটাই সুবিধাজনক হবে দর্শনার্থীদের পক্ষে। উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম ভরকেন্দ্র ছিল টালা ব্রিজ। কিন্তু মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর বিপদ এড়াতে পুরনো ব্রিজ ভেঙে নতুন করে তৈরির পরামর্শ দিয়েছিল রাইটস। এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন মুম্বইয়ের সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না। এরপরই ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টালা সেতুতে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় পুনর্নির্মাণের কাজ। ২ বছর ধরে ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫০ মিটার দীর্ঘ নবপর্যায়ের সেতুটিও মাঝেরহাট ধাঁচে কেবল স্টেড রেলওভার ব্রিজ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে। এর মধ্যে ২৪০ মিটার অংশ কেবলের উপরেই শূন্যে ঝুলবে। শুধু তাই নয়, আগে ছিল তিন লেনের সেতু, কিন্তু নতুন ব্রিজটি যেমন চার লেনের হচ্ছে, তেমনই দু’পাশেই থাকছে ফুটপাথ।