প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- নবান্ন অভিযানে পদ্ম শিবিরের কর্মীদের বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, এই অভিযোগ জানিয়ে আদালতে সরব হয়েছে বিজেপি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের কাছে শুক্রবার রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবার এই রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠেছিল শহর কলকাতা । তুমুল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। যথেষ্ট পুলিশি প্রহরা থাকা সত্ত্বেও বিক্ষিপ্ত হিংসাত্মক ঘটনা এড়ানো যায়নি। এমজি রোড, বড়বাজারে অশান্তি ঘটেছে। পুড়েছে পুলিশের গাড়ি। এসবের জেরে বহু বিজেপি কর্মী, সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই গ্রেফতারি বেআইনি বলে অভিযোগ তুলে আইনি পথে হেঁটেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অপ্রয়োজনীয় ভাবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।বড়বাজারের ভিডিয়ো ফুটেজের ভিত্তিতে রাজারহাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”বিজেপির অভিযোগ, নবান্ন অভিযানে পুলিশের হামলায় একাধিক বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। এর আগে, পুলিশি হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয় যে, বিজেপির রাজ্য দফতরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে। নবান্ন অভিযানের মিছিলকে কেন্দ্র করে অপ্রয়োজনীয় ভাবে যে কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি, তা-ও রাজ্যকে নিশ্চিত করতে বলেছে হাইকোর্ট। রাজ্যের তরফে সওয়াল করতে গিয়ে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে বলেছিলেন, ‘‘বিজেপির কর্মসূচির নাম ‘নবান্ন অভিযান’। নবান্নের চারিদিকে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ফলে সেখানে অবৈধ জমায়েত বা মিছিলে পুলিশ বাধা দেবে সেটাই স্বাভাবিক। আন্দোলনকারীদের পুলিশ বার বার পিছিয়ে যেতে বলেছে।’’এর আগে, বিজেপির মিছিলে পুলিশি হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয় যে, বিজেপির রাজ্য দফতরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে। নবান্ন অভিযানের মিছিলকে কেন্দ্র করে অপ্রয়োজনীয় ভাবে যে কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি, তাও রাজ্যকে নিশ্চিত করতে বলেছে হাইকোর্ট।