দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডে নয়া মোড়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। শুক্রবার রাতে নয়াদিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃতের নাম কানহাইয়া কুমার। এই হত্যাকাণ্ডে মূলচক্রী সত্যেন্দ্র চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার আটদিনের মাথায় দুই মাধ্যমিক ছাত্রের হত্যাকারীকে গ্রেফতার করল সিআইডি। গ্রেফতার করে তাকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসার প্রস্তুতি করছে সিআইডি। আজ, শনিবার নয়াদিল্লির আদালতে ধৃতকে পেশ করবে সিআইডি। রিমান্ডে পেলেই নিয়ে আসা হবে কলকাতায়।প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত ২২ আগস্ট। ওই দিনই পিসতুতো ভাই অভিষেক নস্করকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবেশী জামাইবাবু সত্যেন্দ্রর সঙ্গে বেরিয়েছিল অতনু দে। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি দুই কিশোর। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু লাভ হয়নি। এরপরই ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ যায় অতনুর বাবার কাছে। ২৪ তারিখ পুলিশের দ্বারস্থ হন অতনুর বাবা। ১৪ দিন পর অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর উদ্ধার হয় ২ কিশোরের দেহ। বাগুইআটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এই ঘটনার শিকড় খুঁজে বের করতে নয়াদিল্লি পর্যন্ত পাড়ি দেন সিআইডির গোয়েন্দারা। সেখানে সতেন্দ্র চৌধুরীর সঙ্গীকে নয়াদিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সূত্রের খবর, বাসন্তী হাইওয়েতে গাড়ির মধ্যে বাগুইআটির দুই ছাত্রকে খুন করেছিল ধৃত কানহাইয়া কুমার। উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর হাওড়া স্টেশন থেকে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর আটদিনের মাথায় হত্যাকারীকে গ্রেফতার করল সিআইডি। এই কানহাইয়া কুমারই সুপারি কিলার বলে মনে করছেন গোয়ান্দারা। পুলিশের জেরায় জানা যায়, অপহরণের দিনই ওই দুই কিশোরকে ‘খুন’ করা হয়েছিল। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই মুক্তিপণের দাবি জানানো হয়েছিল।ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।