প্রসেনজিৎ ধর :- বিজেপির নবান্ন অভিযানে বড় কোনও ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্য ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর জন্য আগে থেকেই মজুদ রাখা হয়েছিল ইট। সে ক্ষেত্রে পুলিশ গুলি চালালে বড় কোনও ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। নবান্নকে রিপোর্ট দিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন জেলার পুলিশ সুপাররা। এই রিপোর্ট এবার পৌঁছে যাবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরে। তারপর সেই রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেবেন স্বরাষ্ট্র সচিব।মঙ্গলবার বিজেপি নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা ও হাওড়া। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় লালবাজার ও কলেজ স্ট্রিটেও। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। সঙ্গে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস। এমজি রোডে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের জিপ | আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সুকান্ত মজুমদারকে। কেন এমন পরিস্থিতি? নবান্নে রিপোর্ট দিলেন সমস্ত জেলার পুলিশ সুপাররা।রিপোর্ট উল্লেখ, ‘নবান্নে অভিযানের দিন গার্ডরেল ভাঙার চেষ্টা করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। তাঁদের দেখে উৎসাহিত হন বিজেপি কর্মীরা। হাওড়া সাঁতরাগাছিতে পুলিশের উপর হামলার চালানোর জন্য আগে থেকে ইট মজুত করে রাখা হয়েছিল। পুলিস গুলি চালালে বড় কোনও ঘটনা ঘটে যেতে পারত’। এই রিপোর্ট এবার পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরে। অন্যদিকে, এম জি রোডে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে রাস্তায় ফেলে লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করেছিল বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে হাত ভেঙে গিয়েছে ওই পুলিশ অফিসারের। বর্তমানে তিনি এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। সেই ঘটনাতে ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নবান্ন অভিযানের পরেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সরাষ্ট্র সচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সুপারদের কাছ থেকে পাওয়া সেই রিপোর্টটি এবার কলকাতা হাইকোর্টে তিনি জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে।