দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- মঙ্গলবার ইনসাফ সভা বামেদের। আনিস খান, মৈইদুল মিদ্দা, সুদীপ্ত গুপ্ত, স্বপন কোলে ও সাইফুদ্দিনের বিচার চেয়ে পথে নামলেন সিপিএম-এর ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। ছাত্রনেতা আনিস খান ও অন্যান্য বাম ছাত্র নেতাদের মৃত্যুতে ইনসাফ-সহ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত দোষীদের শাস্তির দাবিতে ওই সভা হওয়ার কথা ছিল ওয়াই চ্যানেলে। কিন্তু সভায় বিপুল মানুষজন আসতে থাকায় ওই সভা সরিয়ে আনা হয় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে। শেষ পর্যন্ত সভা হল ধর্মতলা মোড়েই। ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের কথা সত্যি করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাতার কাতারে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই সমর্থকরা এসে জড়ো হন ধর্মতলায়। সেই ভিড়ের চাপে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ধর্মতলা চত্বর।বামেদের যুব সংগঠনের ডাকে ধর্মতলায় উপছে পড়ল লাল-সাদা ঝান্ডা হাতে ভিড়। হাতে আনিস খানের কাট আউট, গলায় স্লোগান, মইদুল থেকে সুদীপ্ত, বছরের পর বছর ধরে রোদ-জল উপেক্ষা করেন চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে থাকা ছেলেমেয়েগুলোর জন্য ইনসাফ চাইতে হাজির কাতারে কাতারে বাম কর্মী সমর্থক। ওই সভায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘পরিবর্তনের নামে আজ গুন্ডাদের রাজত্ব চলছে। লুঠতন্ত্র চলছে। পুলিশকে বলছি জাগ্রত জনতার সমানে পুলিসের কোনও জোরাজুরি চলবে না। এটা মনে থাকে যেন। পুলিশ বলেছিল ধর্মতলাতে সভা করতে দেবে না। আর আমাদের ছাত্র যুবরা বলেছিল আমরা ইনসাফ সভা করবই। ইনসাফের লহর উঠেছে। অনুব্রত, অভিষেক গোরু চোর, কয়লা চোরদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার জন্য এই সভা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদে পড়লেই মোদীজির বন্দনা করেন। সরাসরি আত্মসম্পর্ন করেন। আমরা মাথা নোয়াই না। কলকাতা পুলিশকে বলব, আমরা তো একটা দিকই চেয়েছিলাম। এবার আপনারা ঠেলা সামলান। ন্যায় চাইতে আজ আমরা রাজপথে। শিক্ষাকে বাঁচাতে লড়াই চলবে। কালীঘাট পর্যন্ত এই আওয়াজ যাক। এই বাংলা দালাল, সাম্প্রদায়িক, চোর জোচ্চর, ডাকাতদের জন্য নয়।’সভায় বক্তব্য রাখেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। হাজির ছিলেন সৃজন, ধ্রুবজ্যোতি সাহা থেকে প্রতিকুর সহ তরুণ বাম নেতৃত্ব। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, শুধু ইনসাফ-এর দাবিই লক্ষ্য নয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যুব সংগঠনকে একত্রিত করতে কৌশলী উদ্যোগ বামেদের।