Breaking News

গার্ডেনরিচ কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির খান!অনলাইন গেমে কোটি কোটি টাকা ‘প্রতারণা’র অভিযোগ!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অবশেষে গার্ডেনরিচ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আমির খানকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। তার গার্ডেনরিচের বাড়ি থেকে প্রায় ১৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তারপর থেকেই আমির খানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অভিযানের সময় থেকে আমির খান পলাতক ছিল। অবশেষে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়েও শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গার্ডেনরিচের ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।গত ১০ সেপ্টেম্বর সাতসকালে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে হানা দেন ইডি’র গোয়েন্দারা। ওইদিন পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা, নিউটাউন-সহ শহরের ছ’টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আমিরের গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল রোডের বাড়িতে ১০ তারিখে তুল্লাশি চালিয়ে বিপুল নগদ টাকার সন্ধান পান তদন্তকারীরা। ১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য জুড়ে।এই ঘটনার পর থেকে কার্যত ‘নিখোঁজ’ হয়ে যায় আমির খান। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান চালাতে থাকেন তদ্দন্তকারীরা। অবশেষে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় কলকাতা পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে এত টাকা জমেছিল আমির খানের বাড়িতে? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল গেমিং অ্যাপের মারফত মোটা রোজগারের টোপ দিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলত অভিযুক্ত। বিভিন্ন মানুষকে ঠকিয়ে তোলা সেই টাকার পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি বলে অনুমান তদন্তকারীদের।কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের এক ঘনিষ্ঠর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল আমির খান। নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাতে পারে পুলিশ। ইডিও তাকে নিজেদের হেফাজতের চেয়ে আবেদন জানাতে পারে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *