Breaking News

কলকাতায় পা রাখলেন বাংলার নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস! কলকাতা বিমানবন্দরে দেওয়া হল গার্ড অফ অনার

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কলকাতা এলেন পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা দমদম বিমানবন্দরে তাঁর বিমান অবতরণ করে। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা, মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বিমানবন্দরেই তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন রাজ্যের নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন বিমানবন্দরে নামার পর তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। রাজ্যের তরফে তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। স্বাগত জানান শশী পাঁজা। পাশাপাশি বাংলার নতুন রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে এদিন বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী ও ডিজি মনোজ মাল্যব। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বাংলার নতুন রাজ্যপালের বিমান অবতরণ করে। এরপর বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে চেপে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রাজভবনে পোঁছয় তাঁর গাড়ি। প্রসঙ্গত বুধবার বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেবেন সি ভি আনন্দ বোস। ওইদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে আনন্দ বোসের নাম ঘোষণার পর তাঁকে ফুল পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে তাঁর সঙ্গে কথাও হয় মমতার। এদিকে সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বোস জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কথার ওপর গুরুত্ব দিয়েই তিনি কাজ করবেন। বোস বলেছিন,‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। একজন দায়িত্ববান রাজ্যপাল হিসাবে তাঁর সঙ্গে আমি কাজ করব। সংবিধানের গণ্ডির মধ্যে থেকে কাজ করব।’ উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর সিভি আনন্দ বোসকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল ঘোষণা করে কেন্দ্র। জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের পর থেকে ৪ মাস রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলেছিলেন লা গণেশন। তবে দীর্ঘ ৪ মাস পর স্থায়ী রাজ্যপাল পেল বাংলা। উল্লেখ্য, ১৯৭৭ ব্যাচের কেরল ক্যাডার আইএএস অফিসার কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন বোস। দীর্ঘ কর্মজীবনে জেলাশাসক, মুখ্যসচিব, সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। স্বল্প-মূল্যের আবাসন প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *