প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত শুভেন্দু অধিকারীও। এই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের মামলা খারিজ করে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রীতিমত চাপ বেড়েছে শাসক তৃণমূলের, নাম জড়িয়েছে খোদ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক শিক্ষা অধিকর্তার। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন।এরই মধ্যে সেই নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ তুলেই মামলা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সেই মামলা সরাসরি খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০০৯ সালে শিক্ষক নিয়োগের জন্য জারি বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা হয়েছিল ২০১২ সালে। সেই সময় বোর্ডের সদস্য ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহাকে বলতে শোনা যায়, কীভাবে চাকরি হয়েছে তা আমি ভালো করেই জানি। সেই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সওয়াল করেন, মামলায় মারাত্মক অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ সত্যি হলে প্রচুর মানুষের বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিক আদালত। পাল্টা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘তৃতীয় ব্যক্তির করা দাবির ভিত্তিতে এই মামলার ভিত্তি কী? কেউ যদি বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করেন তিনি আদালতে এলেন না কেন? ভিডিয়ো দেখে হঠাৎ মনে হয়েছে বিকার চাই?’মামলকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, শিউলি সাহার একটা বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি বলছেন, সেই সময় নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, তিনি বেআইনি নিয়োগে মদত দিয়েছেন। আইনজীবীর দাবি, পূর্ব মেদিনীপুর একটা আতঙ্ক হয়ে রয়েছে। তাই এতদিন মামলা করতে পারেননি বঞ্চিতরা।বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘প্রার্থীরা ২০০৯ সাল থেকে বঞ্চিত। তাহলে এতদিনে শিউলি সাহার ভিডিয়ো পাওয়া গেল বলে অভিযোগ করতে এলেন কেন?’বিচারপতির দাবি, যেখানে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের কোনও অভিযোগ নেই, সেখানে ১৩ বছর পরে একটা ভিডিয়ো নিয়ে এসে এভাবে অভিযোগ করা যায় না। এই বলেই মামলা খারিজ করেছেন তিনি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal