Breaking News

সিঙ্গেল মাদার ও পুরুষেরাও এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়,নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার থেকে বাংলার সিঙ্গেল মাদার্স এবং একাকী পুরুষেরাও পাবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুযোগ।বাংলার মানুষকে নিখরচায় উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প যা বাংলার বুকে শুধুই যে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাই নয়, দেশবিদেশের মানুষের নজরও কেড়েছে। পেয়েছে ভূয়ষী প্রশংসা। উপকৃত হয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। প্রতিবছর এক একটি পরিবারের জন্য বরাদ্দ এক একটি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য রাজ্য সরকার ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে। সম্পূর্ণ ‘ক‌্যাশলেস’ পদ্ধতির এই চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ইস্যু করা হয় তা সাধারণত বাড়ির কোনও প্রবীণ মহিলার নামে করা হয়। পুরুষদের নামে কার্ড দেওয়া হয় না। তবে যার নাম কার্ড হয় তাঁর সঙ্গে বসবাস করা বাবা, দাদা, স্বামী, ছেলেরা ওই কার্ডের দৌলতে চিকিৎসা পরিষেবা পান সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু সমস্যা দেখা যাচ্ছিল সিঙ্গেল মাদার্স, ডিভোর্সি মহিলা এবং অবিবাহিত বা একক পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে যারা একা থাকেন বা যারা অন্যের পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন না। এরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য বার বার আবেদন জানিয়েও কার্ড পেতেন না। এবার এদের জন্যই রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সিঙ্গেল মাদার্স বা ডিভোর্সি মহিলা এবং একাকী বসবাস করা পুরুষদেরও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, একাকী বসবাস করা পুরুষ বা মহিলাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর বা বিধায়কের কাছ থেকে একাকী, পরিবারহীন থাকার ‌‘বৈধতাপত্র’ সংগ্রহ করে ফর্মের সঙ্গে জমা দিতে হবে আবেদন করার সময়। অবশ‌্য ফর্ম জমা পড়ার পর প্রয়োজনে সরেজমিনে গিয়ে বিভাগীয় আধিকারিকরা খতিয়ে দেখে তবেই একাকী থাকা পুরুষকেব বা মহিলাকে স্বাস্থ‌্যসাথী কার্ডের জন্য অনুমোদন করবেন। রাজ্যে এইরকম সিঙ্গেল পুরুষ বা মহিলার সংখ্যা ৩০ লক্ষেরও বেশি। যদিও তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন জানিয়েছেন ১০ লক্ষের মতো পুরুষ বা মহিলা। সেই সব আবেদনের বেশিরভাগই এসেছে শহর এলাকা থেকে।কলকাতা পুরসভা ওয়ার্ডভিত্তিক যে সমস্ত ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চলছে সেখানেও সিঙ্গল মহিলাদের পাশাপাশি নিঃসঙ্গ পুরুষদেরও স্বাস্থ‌্যসাথী কার্ড তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। পুরসভার সমাজকল‌্যাণ দফতর সূত্রে খবর, স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছ থেকে ‘পরিবারহীন’ সার্টিফিকেট নিয়ে তবেই স্বাস্থ‌্যসাথীর ফর্ম জমা দিতে বলা হয়েছে আবেদনকারীদের।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *