প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- জানুয়ারি মাসেই গঙ্গাসাগর মেলা। আগামী ৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। আর ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারি পুণ্যস্নান। কেন্দ্রীয় সরকার যখন রাজ্যকে করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে তখন লক্ষাধিক পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় জমাবেন বলেই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। বুধবার নবান্নের সভাঘরে গঙ্গাসাগর মেলা প্রস্তুতি বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।গতবারের মতো এবার গঙ্গাসাগর মেলায় ট্যাক্স তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। পরিবেশ দূষণের কথা এবারের গঙ্গাসাগর মেলা প্লাস্টিকমুক্ত করার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন গঙ্গাসাগরের পূণ্যতিথির দিনক্ষণ, সময়। তিনি বলেন, ‘৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে এই বছরের গঙ্গাসাগর মেলা। কুম্ভস্নান শুরু হচ্ছে ১৪ তারিখ। পুণ্যস্নানের সময় ২৪ ঘণ্টা। মেলায় ২২৫০টি সরকারি বাস, ৫০০ বেসরকারি বাস চালু থাকবে। চারটি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ চলবে। ১০টি ফায়ার স্টেশন, ২৫টি দমকলের ইঞ্জিন মোতায়েন রাখা হবে।’এদিকে গঙ্গাসাগর মেলায় কর তুলে দেওয়া হয়েছে। হাওড়া, শিয়ালদা থেকে ট্রেন বাড়ানোর আর্জি রেলমন্ত্রীর কাছে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গাসাগর মেলায় নজরদারির জন্য মেগা কন্ট্রোল রুম, ১১৫০ সিসিটিভি ও ড্রোনে নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। মেলায় ১০০টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে এবং ৪টি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সও থাকবে। হাসপাতালে অতিরিক্ত বেড তৈরি থাকছে। ভেসেল ও লঞ্চে জিপিএস ট্রাকিং–এর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।’ এদিন আলোচনার ফাঁকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, ছোট ছোট তাঁবুতে বহু পুণ্যার্থী খাবারদাবার তৈরি করার জন্য আগুন জ্বালান। তার থেকে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা থাকে। যাতে আগুন জ্বালানো না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।তাঁর কথায়, “দু’জন খারাপ কাজ করবে, তার ফল ভুগতে হবে ২০০ জনকে। কেউ বন্দুক বা স্টোভ নিয়ে না মেলায় ঢোকেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সিসিটিভিতেও দেখে নেবে।” গঙ্গাসাগর মেলায় নাশকতার আশঙ্কাও করেন অনেকে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে,“অনেকেই নাশকতা, দাঙ্গা করার পরিকল্পনা করবে। সেগুলি ভেঙে দিতে হবে। গোটা দেশ থেকে লাখ লাখ পুণ্যার্থী আসবেন। রাজ্য-কেন্দ্র মিলে কাজ করতে হবে। সকলকে নিরাপত্তা দিতে হবে।”