দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। দলীয় সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসে ২ তারিখে নজরুল মঞ্চে এক বেঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই বৈঠকেই ‘দিদিকে বলো’র ধাঁচে কর্মসূচির ঘোষণা করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই সূত্রের খবর |জানা গিয়েছে, ওই হাইভোল্টেজ বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জিও উপস্থিত থাকবেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ জানুয়ারির বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী, জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়র পারিষদ-সহ দলে জেলা নেতৃত্বে। এই কর্মসূচিতে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের ৩ হাজার ৩০০ গ্রামে রাত্রিযাপন করবেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। এই কর্মসূচিকে সফল করতে ৩০০জন প্রতিনিধিকে নিয়ে বিশেষ প্রতিনিধি দল তৈরি হচ্ছে। জানুয়ারি মাসের ১০ দিন এবং ফেব্রুয়ারি মাসের ১০দিন গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে রাত্রি যাপন করবেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। সেইখানেই তাঁরা খাওয়াদাওয়া করবেন। এই কর্মসূচি চলাকালীনই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রতিনিধি খুঁজে বের করার কাজ চলবে। এমন কী পঞ্চায়েত ভোটে কাকে টিকিট দেওয়া হবে তাও ঠিক করা হবে।একেবারে তৃণমূল স্তর থেকেই পেতে চাইছে তৃণমূল | সেকারণেই অভিনব কর্মসূচির ভাবনা। যিনি যে তল্লাটের বিধায়ক, সেই এলাকা ছেড়ে তাঁকে কাজ দেখতে যেতে হবে পাশের বিধানসভা এলাকায়। তাঁর কাজ দেখতে আসবেন অন্য কোনও বিধায়ক। আবার যিনি যে এলাকার গ্রাম প্রধান, তিনি যাবেন তাঁর পাশের এলাকায়। তাঁর এলাকায় দায়িত্ব নিয়ে আসবেন অন্য কেউ। খতিয়ান নেবেন পাশের গ্রামপ্রধানের কাজের। কোথায় কোন কাজ হয়েছে, কোথায় ফাঁকি রয়ে গিয়েছে, বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে শীর্ষনেতৃত্বকে। বিধায়ক থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত নতুন কাঠামোয় এবার এভাবেই জনমত নেবে তৃণমূল কংগ্রেস।দু’মাসের কর্মসূচি হলেও মাসে ১০ দিন করে এই কর্মসূচি চলবে। কেন তার কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, জানুয়ারি মাসে দলের প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। তাছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে, বিধানসভা এবং সংসদে বাজেট অধিবেশন রয়েছে, সে কারণে বিধায়ক ও সাংসদরা ব্যস্ত থাকবেন। তাই দুই মাসে কর্মসূচিকে দশ দিনের মধ্যে সীমাবন্ধ রাখা হয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী পরে সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। ২ জানুয়ারির বৈঠকে নতুন কর্মসূচির নাম প্রকাশ্যে আনা হতে পারে।