দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে বড়দিনে ভিড় সামলাতে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ এবার সকাল থেকে রাস্তায় নামানো হচ্ছে। এদিকে নতুন করে করোনার উপসর্গ দেশে উঁকি মারছে। তাই সবদিক সঠিকভাবে সামলাতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ ফোর্স বড়দিনের দুপুর থেকে রাস্তায় থাকবে। পার্ক স্ট্রিটে বড়দিনকে কেন্দ্র করে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ভিড় জমাতে চলেছে বলে আগাম খবর রয়েছে লালবাজারের কাছে | শুধু তাই নয়, আগের দিন অর্থাৎ ২৪ শে ডিসেম্বর রাত ১০ টা থেকে প্রায় দেড় হাজার পুলিশ ফোর্সকে পার্কটির ধর্মতলা সহ শহরের যেসব প্রান্তে চার্চ রয়েছে। সেখানে মোতায়েন করা হবে। এবছর বড়দিনের বিকেল থেকেই পাক স্টিটে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে কলকাতা পুলিশ মূলত পার্ক স্ট্রিট ও অ্যালেন পার্ক সহ ধর্মতলা এবং তার পার্শ্ববর্তী ময়দান এলাকায় তৈরি করা হচ্ছে রাজ্যের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনীর অস্থায়ী বাঙ্কার। পার্ক স্ট্রিট এলাকাকে কেন্দ্র করে থাকছে প্রায় ৬ টি ওয়াচ টাওয়ার। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে থাকবে বাঁশ ও খুঁটির ব্যারিকেড। পার্ক স্ট্রিটে সেলফি তোলার আলাদা জোন তৈরি করছে এবার কলকাতা পুলিশ। এর পাশাপাশি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা এবং ড্রোনের মাধ্যমে ভিড়ের ওপর নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশ। একই সঙ্গে থাকছে সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য হ্যান্ড মাইক ও নজরদারির জন্য শক্তিশালী দূরবীন । পুলিশি সূত্রের খবর, ২৫ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ১০ জন ডিসি। আর প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্ব থাকছে দু’জন করে ইনস্পেক্টরের উপরে। এছাড়াও থাকছে ১১টি নজর-মিনার। দু’টি কুইক রেসপন্স টিম-ও মোতায়েন থাকবে নিরাপত্তার স্বার্থে। পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র থাকছে ১৬টি। এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, বড়দিনের গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখাশোনার জন্য ১০ জন ডিসি-র পাশাপাশি থাকছেন এক জন যুগ্ম কমিশনারও। সঙ্গে থাকছে মহিলা বাহিনী ‘উইনার্স’। পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকার ২৩টি জায়গায় চলবে নাকা-তল্লাশি।শনিবার বিকেল থেকেই ভিড়ের জন্য ওই এলাকায় দু’দফায় মোতায়েন করা হচ্ছে পুলিশের বিরাট বাহিনী। চার জন ডিসির নেতৃত্বে থাকবেন সাত জন ইনস্পেক্টর। এছাড়াও থাকছেন প্রচুর মহিলা পুলিশকর্মী। লালবাজার জানিয়েছে, করোনা অনেকটা কমে যাওয়ায় গত বছর বড়দিনে ভিড় জমেছিল পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায়। আশা করা হচ্ছে, এ বার ভিড় আরও বাড়বে। আর তাই নিরাপত্তার জন্য পার্ক স্ট্রিটে আজ ২২০০ এবং রবিবার তিন হাজার পুলিশকর্মী থাকবেন। এই দু’দিন অতিরিক্ত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের ওই এলাকায় নিয়োগ করা হয়েছে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য। বড়দিনকে কেন্দ্র করে যদি পার্ক স্ট্রিটে এই প্রকারের রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন, তাহলে তার প্রভাব শহরের যান চলাচল ব্যবস্থার উপরেও অনেকটাই পড়বে|