দেবরীনা মণ্ডল সাহা:- নতুন অর্থবর্ষ থেকেই দেশজুড়ে কদর ও গুরুত্ব বাড়তে চলেছে প্যান কার্ডের। ব্যবসাক্ষেত্রের যাবতীয় কাজকর্মে এবার শুধুমাত্র প্যান কার্ডকেই মান্যতা দিতে চলেছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন মোদি সরকার।এবার এই কার্ডেরই আরও ক্ষমতাবৃদ্ধি করতে চাইছে কেন্দ্র।শুধু তাই নয়, এই কার্ডই করে ফেলতে পারবে বহু সমস্যার সমাধানও। পাশাপাশি, ব্যবসা সংক্রান্ত কাজগুলিও হয়ে যাবে আরও সহজ। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা কমাতে সম্ভবত প্যান কার্ডকেই আসন্ন বাজেটে আইনি ক্ষমতা দিতে চলেছে কেন্দ্র।বর্তমানে ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য ১৩টি পরিচয়পত্র রয়েছে যাচাই প্রক্রিয়ার জন্য। এই ১৩টি পরিচয়পত্রের মধ্যে রয়েছে আধার কার্ড, সচিত্র ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট, ইপিএফও, ইএসআইসি, জিএসটিএন, টিআইএন ও টিএএন।
এগুলিকেই এখন বাণিজ্যিক পরিচয়পত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গত বছরই বাণিজ্য মন্ত্রক ইঙ্গিত দিয়েছিল ব্যবসা, শিল্প শুরু করার ক্ষেত্রে কিংবা নতুন কোনও ট্রেড লাইসেন্স পেতে একটিমাত্র নথি যাচাইয়ের ব্যবস্থা নিয়ে আসা হবে। সেই যাচাই প্রক্রিয়ার জটিলতা কমানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। চালু হবে ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম বা এনএসডব্লুএস। এই ব্যবস্থায় ছোট-বড় সব শিল্প ও ব্যবসার তথ্যাবলি নথিভুক্ত হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে তাতে। ব্যবসা ও শিল্পের জন্য সিঙ্গল উইন্ডো ক্লিয়ারেন্স এবং সিঙ্গল আইডেন্টিফিকেশন কার্ড ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। যাঁরা জেলা স্তরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপন করতে চাইছেন, এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে তাঁদের ক্ষেত্রেও। ফলে যে কোনও রাজ্যের উৎপাদিত পণ্য কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই রফতানির যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবে। অথবা জানা যাবে, কোথায় রয়েছে বিক্রয়যোগ্য বাজার। আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দিল্লির সাউথ ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবার থেকে ব্যবসা সংক্রান্ত যে কোনও অনুমোদন, লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, আবেদনপত্র জমা দেওয়া, ব্যাঙ্ক ঋণ ইত্যাদি সব কাজেই প্রমাণপত্র হিসেবে একমাত্র প্যান কার্ড ব্যবহার করা হবে।